পায়রা বন্দর এখন আর সম্ভাবনা নয়, বাস্তবতা-পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান

প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০২৩

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেছেন, পায়রা বন্দর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম স্মার্ট বন্দর। এ বন্দর এখন আর সম্ভাবনা নয়, বাস্তবতা। এটি প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আধুনিক মাষ্টার প্লানের আওতায় এই বন্দরটি ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মহান স্বাধীনতা দিবসে পায়রাবন্দর সভা কক্ষে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট রাবনাবাদ চ্যানেল হন্তান্তর অনুষ্ঠানে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বন্দরে প্রথম টার্মিনালের সাথে যুক্ত হচ্ছে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল। কন্টেইনার টার্মিনাল-১, কন্টেইনার টার্মিনাল-২, লিকুইড বাল্ক টার্মিনাল, কোল টার্মিনাল, এলএনজি টার্মিনাল। ইতিমধ্যে বন্দরকে ঘিরে দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে গড়ে উঠবে, পায়রা শিল্প নগরী, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিল্প ব্রেকিং-ইন্ডাষ্ট্রি,ডক ইয়ার্ড,বিমান বন্দর। খুব শিঘ্রই পায়রা বন্দর হয়ে উঠবে দক্ষিন এশিয়ার বৈদেশিক বানিজ্যের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র। বন্দরের ফাস্ট টার্মিনাল স্থাপনের কাজ শেষ হলে বন্দরের রাজস্ব আয় বাড়বে আট থেকে দশ গুণ বেশি। বন্দরের এই সক্ষমতার মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে এবং অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

রাবনাবাদ চ্যানেল হন্তান্তর অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মুহিববুর রহমান, স্কিম পরিচালক রাজীব ত্রিপুরা, প্রকল্প পরিচালক জ্যা জ্যান মুয়েনস সহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন। এছাড়াও জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদদেরও শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করে তাদের আত্মার মাফরেফাত কামনা করা হয়।

বন্দর সূত্র জানা গেছে, রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করে বেলজিয়াম ভিত্তিক জান ডি নুল নামের ঠিকাদারী একটি প্রতিষ্ঠান। এ ড্রেজিং কার্যক্রমের ফলে রামনাবাদ চ্যানেলটি ১০.৫ মিটার গভীরতায় উন্নীত হয়েছে। এর ফলে ২২৫ মিটার দের্ঘ্য এবং ৩২ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্যনাম্যাক্স আকৃতির বড় জাহাজ ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার মেঃ টন পন্য নিয়ে সরসরি বন্দরে ভীড়তে পারবে। ২০১৩ সালের ১৫ই নভেম্বর পায়রা বন্দর যাত্রা শুরু করে। ২০১৯ থেকে পায়রা বন্দর অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে।

 

আপনার মতামত লিখুন :