একজন ব্যক্তির সর্বাধিক কতজন স্ত্রী থাকতে পারে? ১, ২, ৩ কিংবা ১০ জন। কিন্তু একজন ব্যক্তিকে যদি ৪০ জন নারী স্বামী হিসেবে দাবি করেন তাহলে যে কারও চক্ষু চড়কগাছ হবেই। অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহারে। সেখানকার এক ব্যক্তির স্ত্রী ৪০ জন!
বিহারের জাতিভিত্তিক আদমশুমারিতে দেখা গেল বিহারের আরওয়াল জেলার রেড লাইট এলাকার ৪০ জন যৌনকর্মীর দেওয়া তথ্যে স্বামী হিসেবে উল্লেখ রয়েছে একজনেরই নাম। তিনি রূপচাঁদ। এমনকি ওই ৪০ জন যৌনকর্মীর সন্তানরাও জানিয়েছে, তাদের বাবার নাম রূপচাঁদ।

জানা গেছে, বিহারের এই রেড লাইট এলাকা আরওয়াল জেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। সেখানে যৌনকর্মীদের নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানাও নেই। তাদের মধ্যে ৪০ জন নিজেদের রূপচাঁদের স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশ- বিদেশে।

যদিও রূপচাঁদ নামে আদতে কোনো ব্যক্তি আছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেননা, আদমশুমারির তথ্য সংগ্রহে যাওয়া কর্মীরা এই তথ্য পেয়েছিলেন বিহারের এমন একটি এলাকা থেকে, যেখানে যৌনকর্মীরা বসবাস করেন।

গত ৭ জানুয়ারি থেকে নীতীশ কুমার সরকার এই জাতিভিত্তিক জনগণনা শুরু করেছে। এই শুমারির জন্য খরচ পড়ছে ৫০০ কোটি টাকা। দু'ভাগে এই জনগণনা চলছে বিহারে। প্রথম দফায় সমস্ত বসতবাড়িতে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জাতি, উপজাতি, ধর্মের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

স্বামীর নামের স্থানে রূপচাঁদ লেখা প্রতিটি নারী যৌনবৃত্তি করেই জীবন যাপন করেন। আধার ও প্যান কার্ড বানানোর সময় তারা নিজেরাই স্থির করে বরের নাম রূপচাঁদ লেখেন। এত নাম থাকতে হঠাৎ রূপচাঁদই কেন? রহস্য উদ্ধার করতে গিয়ে কর্মকর্তারা জানতে পারেন, ওই যৌনপল্লীতে টাকা শব্দের সমর্থক বা কোডওয়ার্ড হল রূপচাঁদ! টাকাই তাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান, তাই আর কোনও নাম নয়, টাকার নামেই বরের নাম রেখেছেন ওই ৪০ জন নারী। সূত্র: আনন্দবাজার।