হেলিকপ্টারে বাড়িতে আসে ডাক্তার দম্পত্তি ছেলে-পুত্রবধু

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,১৩ জানুয়ারি।। ডাক্তার দম্পত্তি ছেলে-পুত্রবধু হেলিকপ্টারে বাড়িতে আসবে। তাই পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার বাসিন্দা পিতা মানিক মিয়া শনিবার সকাল থেকে অধির অপেক্ষায় পথ চেয়ে ছিলো। ঘড়ির কাটায় তখন ঠিক দুপুর ২ টা। পশ্চিম কুয়াকাটায় তার নিজ বাড়ির পাশের খোলা মাঠে পুত্র ডা.তৌফিকুল ইসলাম রনি ও পুত্রবধূ ডা.নীলিমা আফরিন নওমীকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। এদিকে হেলিকপ্টারে নতুন বউ আসছেন শুনে মানিক মিয়ার আতœীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী সবাই অধিরআগ্রহে দেখতে আসেন। তবে এমন আয়োজন দেখতে তার বাড়ির পাশে উৎসুক জনতারও ছিলো ভীড়।

জানা গেছে, শুক্রবার কুয়াকাটা পৌর শহরের মানিক মিয়ার ছেলে ডা.তৌফিকুল ইসলাম রনির সঙ্গে শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকার ব্যাংকার নুরুজ্জামান বেপারীর জ্যেষ্ঠ কন্যা ডা.নীলিমা আফরিন নওমীর বিবাহ হয়। তারা দু’জন ঢাকায় বেসরকারী চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন। কনে ডা. নওমীকে নিয়ে আসতে যান মানিক মিয়া সহ তার আত্মীয় স্বজনরা। পরে হেলিকপ্টার যোগে ছেলে এবং পুত্র বধুকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ছেলে ও পুত্রবধুকে হেলিকপ্টারে করে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসলেন এটাই ছিল পিতা মানিক মিয়ার স্বপ্ন।

ডা.রনির চাচতো বোন ফারজানা সাথী জানান, আমার ছোট ভাই ও ভাবিকে আজকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসছেন আমার চাচায়। এটা তার একটি স্বপ্ন ছিল। আমরা সবাই দেখতে আসছি।

বর ডা.তৌফিকুল ইসলাম রনি সাংবাদিকদের জানান, আমার বাবার স্বপ্ন ছিল আমি ডাক্তার হবো, বাবার স্বপ্ন পূরন করতে সক্ষম হয়েছি। বাবা আমাকে হেলিকপ্টারে করে বিবাহ করিয়েছে। বাবাকে ধন্যবাদ জানাই, সেই সাথে দিনটি আমার জীবনের একটি স্বরনীয় হয়ে থাকবে।

পিতা মানিক মিয়া বলেন, আমার ছেলে ছোটবেলা থেকে অনেক মেধাবী। যখন পঞ্চম শ্রেণীতে খুব ভালো রেজাল্ট করেছিল। তখন আমি স্বপ্ন বুনেছিলাম ছেলেকে ডাক্তার বানাবো এবং ছেলে বউকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসবো। আজ আমার স্বপ্ন সফল হয়েছে।

মহিপুর থানার ওসি মো.আনোয়ার হোসেন তালুকদার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হেলিকপ্টারে করে কুয়াকাটাতে এক নব দম্পতি এসেছে।

আপনার মতামত লিখুন :