ডোমেইন ডটবাংলা ও ডটবিডি নবায়নের মাশুল মওকুফ

প্রকাশিত : ৬ এপ্রিল ২০২০

দেশ লকডাউন থাকায় নানান সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। এবার এই সুবিধায় নতুন করে যোগ হয়েছে বাংলা ভাষায় স্বীকৃত জাতীয় ডোমেইন ডটবাংলা ও ডটবিডি নবায়নে বিলম্ব মাশুল মওকুফ। সেই সাথে ১ মার্চ থেকে যারা ডোমেইন নবায়ন করেছেন তাদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর নির্দেশে বিটিসিএল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার (৫ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ মার্চ ২০২০ থেকে ১ জুন ২০২০ পর্যন্ত বিলম্ব মাশুল ছাড়াই ডট বাংলা ও ডট বিডি (.ইউ) নবায়ন করা যাবে। ইতোমধ্যে যে সকল গ্রাহক ১ মার্চের পর বিলম্ব মাশুলসহ ডোমেইন নবায়ন করেছেন তাদের বিলম্ব মাশুল ফেরত দেওয়া হবে।’ এর আগে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ থেকে ডটবাংলা ও ডটবিডি ডোমেইনের দাম কমিয়ে আনা হয়। সবার জন্য সহজলভ্য ও দেশি এক্সটেনশনে ডোমেইনের ব্যবহার বাড়াতেই মূলত ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর নির্দেশনায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ইতোপূর্বে এই দুটি ডোমেইন প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিতে বার্ষিক বিক্রয় মূল্য ছিল যথাক্রমে ৫ হাজার এবং ১৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু নতুন এ ঘোষণায় আগের দাম কমিয়ে সবার জন্য একটি মাত্র ক্যাটাগরিতে বার্ষিক বিক্রয় মূল্য মাত্র ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশি ডোমেইন ডটবাংলার ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত দীর্ঘ ১ বৎসর যাত্রার পরেও ব্যবহার ছিল অসন্তোষজনক। উচ্চ মূল্য ও প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিতে থাকার ফলেই ব্যবহারকারীদের আগ্রহ কম ছিল এই দেশীয় ডোমেইনে।

২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে মাত্র ৪শত ৪২ জন গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠান ডটবাংলা ডোমেইন ব্যবহার করেছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশেরই বিল বকেয়ার জন্য লাইন বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। দাম কমানোর পর গত দুই বছরেরও কম সময়ে ডোমেইন দুটির মোট গ্রাহক সংখ্যা ২৫ হাজার ৭২৪টিতে উন্নীত হয়েছে এবং সরকারি রাজস্ব কয়েক গুণ বেড়েছে। ডটবাংলা ডোমেইন সহজ ও সুলভে বিক্রির জন্য ইতোমধ্যেই প্রমোশনাল সেল বিভাগ গঠন করা হয়েছে। এবং ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ঘরে বসেই ডোমেইন নিবন্ধন করা সম্ভব।

বৈশ্বিক এই দুর্যোগের সময়েও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ঘরে বসে নিরবচ্ছিন্নভাবে ডিজিটাল সেবা নির্বিঘ্ন করতে কতিপয় জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবাকে জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত করে গত ২৪ মার্চের সরকারি আদেশ অন্যতম। সরকারের গৃহীত উদ্যোগের ফলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারসহ ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবায় নিয়োজিত সার্ভিসগুলো বিশেষ করে সাবমেরিন ক্যাবল, টেলিটক এবং বিটিসিএল’র জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

এছাড়া মন্ত্রী নেটওয়ার্ক সচল রাখাসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আপনার মতামত লিখুন :