ঝিনাইদহে প্রেমের দাবিতে জাহিদের বাড়ি তিন দিন ধরে লকডাউনের পর সেই টুম্পার বিয়ে সুসম্পন্ন

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২০

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: লকডাউন, হোম কোয়ারেন্টাইন আর নিষেধাজ্ঞা কোনটাই দমিয়ে রাখতে পারেনি কিশোরী টুম্পা (১৪) খাতুনের।দেশব্যাপী যখন করোনা ভাইরাসে আতংকিত মানুষ, ঠিক তখন সে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করে প্রেমিক ইজিবাইক চালক জাহিদের (১৭) বাড়িতে। তিনদিন অনশন চলার পর বিজয়ী হয় টুম্পা। অবশেষে গোপনে তাদের বিয়ে হয় ঝিনাইদহ শহরে। বয়স না হওয়ায় টুম্পা ও জাহিদ বিয়ের পর আপাতত আত্মগোপনে আছে।

গ্রামবাসি জানায়, জাহিদ ঝিনাইদহ শহরে ইজিবাইক চালাতো। সেই সুত্র ধরে তার সাথে ঝিনাইদহ পৌরসভার খাজুরা গ্রামের শহিদ মিয়ার মেয়ে টুম্পার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। টুম্পা ঝিনাইদহ মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান বালিকা বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। জাহিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর ধীরে ধীরে তা গভীর হতে থাকে। জাহিদ বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে টুম্পার সাথে একাধিকবার শারীর সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কিছু দিন পর জাহিদ টুম্পার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বেগতিক দেখে টুম্পা পিছু নেয় জাহিদের।

উপায় না পেয়ে করোনা আতংকের মধ্যেই বিয়ের দাবীতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে জাহিদের বাড়িতে ওঠে। জাহিদ কাশিপুর গ্রামের শাহাজান মালিতার ছেলে। তিন দিন ধরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক কিশোরীর অনশন চাউর হয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জাহিদের পিতা শাহাজান মালিতা শনিবার দুপুরে জানান, মেয়েটি আমাদের বাড়িতে আসার পর বুঝিয়ে শুজিয়ে খাজুরা গ্রামে তার বাপ মার হাতে তুলে দিয়ে আসি। কিন্তু সে আবার আমাদের বাড়িতে ফিরে আসে। ছেলে মেয়ে দুজনাই অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না।

অবশেষে একেবারে বাধ্য হয়েই শুক্রবার রাতে তাদের বিয়ে দিয়েছি। হলিধানী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, টুম্পার সাথে জাহিদের ঝিনাইদহে বিয়ে হয়েছে শুনেছি। তারা এলাকায় নেই। এ বিষয়ে কাতলামারি পুলিশক্যাম্প ইনচার্জ আনিচুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। যেহেতু ছেলে মেয়ে দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক সেহেতু এটা পারিবারিক ভাবে সুরাহা করার কথা বলেছি।

 

আপনার মতামত লিখুন :