শরীয়তপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দুই যুবক গণধোলাইয়ের শিকার

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০২০

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের মহসিন রেজা রিপন ও নড়িয়ার সোহাগ খান সুজন নামে দুই যুবক সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। শনিবার (১৮ এপ্রিল ২০২০) দুপুরে শরীয়তপুর কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই সাংবাদিক পরিচয়দানকারীদের নামে আলমগীর চৌকিদার নামে এক ব্যবসায়ী পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেছে।

এ ব্যাপারে আলমগীর চৌকিদার বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে শরীয়তপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার হিসেবে ব্যবসা করে আসছি। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে শরীয়তপুর পৌরসভা যুবদল নেতা ও শরীয়তপুর পৌরসভার ধানুকা এলাকার মহসিন রেজা রিপন এবং নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চরের সোহাগ খান সুজন (বর্তমানে শরীয়তপুরে ভাড়ায় থাকা) সহ কয়েকজন আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল।

তারই ধারাবাহিকতা তারা শনিবার সকালে শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর বালুচরা এলাকায় গিয়ে আমার বসতবাড়িতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের কাছে চাঁদার দাবিতে নানান হুমকি দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। পরে স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। আমি ন্যায় বিচারের জন্য নিজে বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করি।

এরপর শুনতে পাই, “কোর্ট এলাকায় কে বা কারা তাদেরকে পেয়ে জুতা পেটা সহ গণধোলাই দিয়েছে”। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, মহসিন ও সুজন সাংবাদিকতায় ছদ্মবেশী। মহসিন শরীয়তপুর কোর্টের সামনে ভাইয়ের ভাতের হোটেলে কাজ করতো; আর সে পৌরসভা যুবদল নেতা। সম্প্রতি গাঁজা সহ ধরা খাওয়ার পরে জেল থেকে বের হয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সহযোগিতায় সাংবাদিক বনে গেছে। এখন তার কাজ মানুষের সাথে ধান্দাবাজি ও চাঁদাবাজি করা। অন্যদিকে, সুজন নড়িয়ার মোক্তারের চরের ছাত্রদল কর্মী, মামলার আসামী হয়ে শরীয়তপুর শহরের বিভিন্ন বাসায় ভাড়া থেকে কোর্ট এলাকায় দালালী করে।

পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সহযোগিতায় সাংবাদিক বনে গেছে। এখন তার কাজ মানুষের সাথে ধান্দাবাজী ও চাঁদাবাজি করা। মহসিন ও সুজন গংদের একটি সিন্ডিকেট আছে, তাদের অত্যাচারে অনেক সাধারণ মানুষ দিশেহারা। লজ্জায় কেউ মুখ খোলেনা। এই ছদ্মবেশীদের উপযুক্ত বিচার চাই। এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :