প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গলাচিপায় কৃষকদের কাজে ব্যাপক তৎপর কৃষি বিভাগ


প্রকাশিত : ৪ মে ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: নভেল করোনো ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ ও প্রাদুর্ভাব জণিত কারণে সরকার ঘোষিত দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি কালীন সময়ে বিরাজমান দেশের অনেক এলাকা অবরুদ্ধ আছে। এবস্থায় যাতে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত না হয় তার প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে কৃষি শস্যপন্য ও ফসল উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তি, রোগবালাই দমন ও অন্য যে কোন সেবা নিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তৎপর কৃষি বিভাগ।

কৃষকের সুবিধার জন্য কৃষকের কছে ছুটে যাচ্ছেন সর্বস্তরের কৃষি ও মাঠ কর্মকর্তারা। দেশে মোট খাদ্য উৎপাদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল আবাদী জমি চাষের আওতায় আনার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে ও পরামর্শ প্রদানে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকদের সার্বিক সেবাদানের কাজ করছেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কৃষি কর্মকর্তারা। কৃষি বান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সা¤প্রতিকালে দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে, তথা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কৃষি কর্মকর্তারা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

করোনা ভাইরাস এর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কৃষকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আউশ আবাদ বৃদ্ধি, বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ, কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, বোরো ধান বিক্রয়, কৃষকের তালিকা তৈরী, আউশ আবাদী কৃষকের তালিকা তৈরী, প্রতিটি বøকে সার ও কীটনাশকের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের এ যোদ্ধাদের প্রচেষ্টার ফলেই এ বছর গলাচিপায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং মুগের বাম্পার ফলন আশা করা যাচ্ছে। এ বছর গলাচিপায় ৪৬৫০ হেঃ জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে যার আর্থিক ম‚ল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। মুগের আবাদ হয়েছে ২০৫০০ হেঃ জমিতে এবং উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে ২৪৬০০ মেঃ টন, যার বাজার ম‚ল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।

কৃষি উৎপাদিত তরমুজ,ডাল আলু ও নানাবিধ সবজি বাজার জাত করা এবং পরিবহণ ব্যবস্থার অভাব বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় অনেক কৃষক ন্যায্য ম‚ল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর এই উপজেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ৫০০ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩০০০ মেঃ টন। বোরো আবাদী কৃষকের তালিকা তৈরীর কাজ প্রায় চ‚ড়ান্ত পর্যায় এবং ধান কাটার যন্ত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে যাতে নির্বিঘেœ ফসল কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, করোনাকে ভয়ভীতির উর্দ্ধে রেখে সাধারন ছুটির মধ্যে তারা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নিরলস ভাবে মাঠে কৃষকের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

তবে সরকার থেকে কৃষি কর্মকর্তাদের জন্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান ও জরুরী বিভাগ ঘোষনা করলে তার আরও উদ্দমের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হতেন বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সংবাদ প্রতিনিধির সাক্ষাতে, গলাচিপা উপজেলার কৃষি অফিসার, জনাব এ.আর.এম সাইফল্লাহ বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আউশ আবাদ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, তার অংশ হিসেবে ২৭০০ জন কৃষককে প্রায় ৯ মেঃ টন সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রায় ২০০ জন কৃষককে শুধু বীজ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ বছর আউশ আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ৭০০০ হেক্টর।

তিনি আশা করেন কৃষি বিভাগের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে তা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি আরও বলেন তিনি ও কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কৃষকদের ও মাঠ কর্মকর্তাদের পরামর্শ প্রদান অব্যহত রেখেছেন। এ ছাড়া গলাচিপা যে সারের ও বীজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে মনিটরিং জোড়দার করা হয়েছে। অনেক কৃষকদের সাথে আলোচনা করে জানা যায় যে, তাদের উৎপাদিত শস্য পন্য বাজার জাত ও পরিবহণ ব্যবস্থা বাঁধা গ্রস্থ না হয় সে ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছে।

 

 

আপনার মতামত লিখুন :

এই বিভাগের সর্বশেষ