কাল থেকে মসজিদে নামাজ ও তারাবী পড়া মুসল্লির জন্য উন্মুক্ত

প্রকাশিত : ৬ মে ২০২০

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে মসজিদগুলোতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তারাবিতে অংশ নিতে পারবেন সব মুসল্লি। বুধবার র্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সাখাওয়াত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নামাজে অংশগ্রহণের জন্য স্বাস্থ্যবিধিসহ কয়েকটি নির্দেশাবলি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের শীর্ষ স্থানীয় আলেম ওলেমারা পবিত্র রোজার মাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে মসজিদে নামাজ আদায়ের শর্ত শিথিল করতে প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি জানান। সম্প্রতি সরকার সার্বিক বিবেচনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে বৃহস্পতিবার জোহর থেকে সুস্থ মুসল্লিদের মসজিদে জামায়াতে নামাজ পড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

 

মসজিদে যাওয়ার শর্তসমূহ:

মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে, মুসল্লিরা সকলেই নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ তিন ফুট পর পর দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। শিশু বয়স্ক, বয়বৃদ্ধ যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশ নিতে পারবেন না। সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না। উল্লেখিত শর্ত পালন সাপেক্ষে প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচজন নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে ইতেকাফের জন্য অবস্থান করতে পারবেন। খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

আপনার মতামত লিখুন :