বাগেরহাটে ত্রাণ চাওয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে মারধর করলেন নারী ইউপি সদস্যের ছেলে!

প্রকাশিত : ৬ মে ২০২০

বাগেরহাট প্রতিনিধি : গেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধালে ত্রাণ চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে নারী ইউপি সদস্যের ছেলে ভিক্টর দাস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজারে শাহাদাতের বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহত রমজান সরদারকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। অভিযুক্ত ভিক্টর দাস কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শিপ্রা দাসের ছেলে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রমজান সরদার বলেন, বৈলপুর বাজার থেকে মাছ বিক্রি করে বাধাল বাজারের শাহাদাতের বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে বসে ছিলাম। হঠাৎ ইউপি সদস্য শিপ্রা রানী দাসের ছেলে ভিক্টর দাসসহ তিনজন আমার কাছে আসে। ভিক্টর আমাকে বলে তার মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করছি কেন। আমি কোন উত্তর দেওয়ার আগেই ভিক্টর ও অন্য আরেকজন আমাকে হাতুরী দিয়ে পেটাতে শুরু করে। আমার পকেটে থাকা মাছ বিক্রি করা ১৬ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ওরা পালিয়ে যায়।

মারধরের শিকার রমজান সরদারের মা আবিনুর বেগম বলেন, সোমবার বিকেলে বাধাল বাজারে মহিলা মেম্বর শিপ্রা দিদির সাথে আমার দেখা হয়। আমি তাকে বলি করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর আমরা কোন ত্রাণ পাইনি। সুযোগ থাকলে আমাদের কিছু দিয়েন। শিপ্রা দি আমাকে বলেন তোরা কিছু পাবি না, তোরা আমাকে ভোট দিসনি। যারা ভোট দিয়েছে, যারা আমার পিছনে ঘুরেছে তারা সব কিছু পাবে। আমার বাড়িও যাবি না তোরা। ঠিক আছে যাব না বলে আমি চলে আসি। এতে আমার কি অপরাধ হয়েছে। এর পরেও আমার ছেলেকে এভাবে মারধর করল। কেন আমরা গরীব তাই মার খেতে হবে? আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শিপ্রা রানী দাস বলেন, একটি শালিস বৈঠক নিয়ে রমজান সরদার আমাকে গালিগালাজ করেছে। তাই রমজানকে আমার ছেলে মারধর করেছে। রমজানের মাকে বলেছি রমজান আগে সুস্থ হোক তারপর আমার ছেলের যা বিচার করার তোমরা করিও। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনা আমরা শুনেছি। রমজানের পরিবারকে বলেছি লিখত অভিযোগ দিতে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :