আজ কবিগুরুর ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী

প্রকাশিত : ৮ মে ২০২০

আজ পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্ম নেন বিশ্বকবি। তাঁর লেখনীতে পরিপুষ্ট হয়েছে বাংলা সাহিত্যের সব কটি ধারা। প্রতিবছর বর্ণাঢ্য আয়োজনে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হলেও করোনা মহামারির কারণে এবার থাকছে না কোনো প্রকাশ্য আয়োজন। সেই শুভ, সুন্দর ক্ষণটি আবার এলো। আজ চির নূতনেরে স্বাগত জানানোর দিন, ২৫ বৈশাখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী।

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম নেয়া, অমিত প্রতিভাবান মানুষটি ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, কথাশিল্পী, চিত্রশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, ছোট গল্পকার, ভাষাবিদ। সাহিত্যের এমন কোন ধারা নেই যেখানে তার পদধূলি পড়েনি। মূলত তার হাতেই সার্থক বাংলা ছোটগল্পের সূত্রপাত। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি চিত্রকর হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন। বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে প্রথম এশীয় ও একমাত্র বাঙালি লেখক হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।

তিনিই বিশ্বের একমাত্র কবি যিনি দুটি দেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে। বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর সাহিত্য। তাঁর বিপুল কর্মকাণ্ডের মধ্যে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা অন্যতম একটি প্রধান কীর্তি। সাহিত্যের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের গান বাংলা সঙ্গীত ভাণ্ডারকে দারুণভাবে সমৃদ্ধ করেছে।

মানুষের মনে যতো ধরনের ভাবনা বা অনুভূতি তৈরি হয়, তার প্রায় সবগুলোকেই নিজের গান দিয়ে ছুঁয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাইতো আজও বাঙালির প্রতিদিনের জীবনযাপনে এই মহামানবের উপস্থিতি প্রেরণার আলোকরশ্মি হয়ে পথ দেখায়। আশি বছরের জীবন সাধনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্ম ও মৃত্যুকে একাকার করে তুলেছেন অমরতার শাশ্বত বার্তায়।

 

আপনার মতামত লিখুন :