নীতিমালা না মানায় এনটিটিএনের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রাহকরা
প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি ২০২০

আজ ২০ জানুয়ারি ২০২০ইং রোজ সোমবার সকাল ১০:৩০ টায় রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের উদ্যোগে “টেলিযোগাযোগ সেবায় এনটিটিএন’র ভূমিকা ও চ্যালেঞ্জ : উত্তরণের উপায়” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় এমটব’র মহাসচিব বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস. এম. ফরহাদ (অবঃ) বলেন, “বর্তমানে জিডিপির ৭% অর্জিত হচ্ছে টেলিযোগাযোগ সেবা থেকে। ৩জি’তে আমরা ৩৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। সেই অর্থ এখন পর্যন্ত আমরা উত্তোলন করতে পারি নাই। বর্তমানে বিশ্বে গড়ে একজন গ্রাহক ১২০০/- টাকা টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় ব্যবহার করছে। বাংলাদেশে ১০০ টাকার সেবা দিতে সরকারকে দিতে হচ্ছে ৫২ টাকা। বাকি অর্থ দিয়ে সকল ব্যয় পরিশোধ করতে হয়। সেবার মান বৃদ্ধি করার সাথে সাথে বিনিয়োগের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। টেলিযোগাযোগ সেবার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এনটিটিএন। অতএব বিটিআরসিকে অনুরোধ করছি সকল স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়ে আলোচনা করে কিভাবে আরো গ্রাহকবান্ধব সেবা দেয়া যায় এবং বিনিয়োগকারীদের অর্থ ঠিকভাবে উত্তোলিত হয় তার ব্যবস্থা করতে।”
ফাইবার@হোম’র চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী বলেন, “বর্তমান সরকারের ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্য নিয়ে আমরা ইউনিয়ন পর্যন্ত ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিয়েছি। বর্তমানে একটি গ্রাহক গড়ে ১ জিবিপিএস ব্যবহার করছে। আগামীতে গড় ব্যবহার দাঁড়াবে প্রায় ৩ জিবিপিএস। গ্রাহকদের ব্যয় আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই ব্যয়কে কিভাবে গ্রাহকদের সামর্থ্যরে মধ্যে রাখা যায় তা নিয়ে এখনি কাজ করা দরকার। বর্তমানে এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অপারেটরা মাত্র ৫% সার্ভিস নিয়ে থাকে। এই সার্ভিস দিয়ে গ্রাহকদের সেবার মান ঠিক রাখা কঠিন। আমাদের সক্ষমতা অনেক কিন্তু টেলিকম অপারেটররা আমাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিকল্পভাবে সার্ভিস নেয়ায় গ্রাহকদের সেবার মান বাড়ছে না। সরকারি ও বেসরকারি সকল এনটিটিএনদের রুলস রেগুলেশন মেনে চলতে হবে। সমন্বিতভাবে ট্রান্সমিশন পরিচালিত হলে সেবার দামও কমবে মানও বাড়বে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “ডিজিটাল মাধ্যমে সব কাজকারবার হয় বলে নিয়ন্ত্রক কমিশন জবাবদিহিতা করে না। তার অন্যতম উদাহরণ আজকের অনুষ্ঠানে তাদের অনুপস্থিত থাকা। তারা যদি থাকতেন তাহলে সকলের বক্তব্য শুনে তাদের তৈরি করা গাইডলাইন সকলকে মানতে বাধ্য করতে পারতেন।”
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার চলতি বছর বা ২০২১ এর মধ্যে চতুর্থ প্রজন্মের শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়নে ৫জি চালু করতে যাচ্ছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে চায়। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। আগামীতে ডেটার ব্যবহার বৃদ্ধি পাবার ফলে বাংলাদেশে ডেটা অর্থনীতির বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে। এর অন্যতম মাধ্যম ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক। তাই আজকের এই আলোচনার অন্যতম বিষয় এনটিটিএনের ভূমিকা ও চ্যালেঞ্জ। টেলিযোগাযোগ সেবা বিশেষ করে ইন্টারনেট শুধু মাত্র শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ না রেখে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে এবং টেলিযোগাযোগের অবকাঠামোগত কাজে শৃঙ্খলা আনতে এনটিটিএন (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) লাইসেন্স প্রদান শুরু করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। কমিশন হতে ইতোমধ্যে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), বাংলাদেশ রেলওয়ে, ফাইবার এট হোম এবং সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডকে এনটিটিএন লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। টেলিযোগাযোগ সেবার মানোন্নয়ন ও প্রতিযোগিতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিটিআরসি নতুন লাইসেন্স প্রদান করবে এটাই স্বাভাবিক। যার ধারাবাহিকতায় বাহন লিমিটেড নামক আরেকটি প্রতিষ্ঠান গত নভেম্বর মাসে এনটিটিএন লাইসেন্স পেয়েছে। লাইসেন্স প্রদানের পূর্বে বাজার যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিল। তা না করে লাইসেন্স প্রদান করায় পূর্বের এনটিটিএন লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সাথে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে এনটিটিএন সেবার মূল্য নির্ধারিত না থাকায় এনটিটিএন প্রতিষ্ঠানগুলির নিকট মোবাইল ফোন অপারেটররা যেমন সেবা গ্রহণ করতে অনাগ্রহ দেখাবে তেমনি এই প্রতিষ্ঠানগুলোও অনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সেবা খাতটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আজ পর্যন্ত বিটিআরসির গাইডলাইনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়নি।
২০০৯ সালে দুটি প্রতিষ্ঠান ফাইবার এট হোম এবং সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড এনটিটিএন লাইসেন্স পাওয়ার পর পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করে। বিটিআরসির নীতিমালা অনুসারে এনটিটিএন লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন বা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স পেতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এককালীন তিন কোটি টাকা, প্রতিবছর নবায়নের জন্য ২৫ লাখ টাকা ও ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে ১০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। এসব শর্তে লাইসেন্স নিয়ে বর্তমানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ফাইবার এট হোম ও সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান।
টেলিযোগাযোগ সেবাকে সহজলভ্য ও ব্যাপকতর করতে এনটিটিএনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পুরো টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে একাধিক পৃথক কিন্তু সমন্বিত নেটওয়ার্কের উপর। আমরা যে মোবাইল নেটওয়ার্ক দেখছি তার ভিত্তি হচ্ছে ভূমির উপরে, ভেতরে কিংবা সমুদ্রের তলদেশে বিস্তৃত ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্ক। ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে এর ভেতরের অপটিক্যাল ট্রান্সমিশন সিস্টেমের দৃঢ়তার উপর। ফাইবার অপটিক কেবলের অভ্যন্তরে তরঙ্গপ্রবাহের সঞ্চালন আলোক সংকেতের মাধ্যমে অতিমাত্রায় গতিশীল করার যে প্রযুক্তিগত বিন্যাস সেটি হচ্ছে ফাইবার অপটিক কেবলর ভেতরে অপটিক্যাল ট্রান্সমিশন সিস্টেম যেটিকে অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কও বলা হয়। এই ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পৌছে যাচ্ছে মহাদেশ থেকে মহাদেশে, দেশ থেকে দেশে, শহর থেকে বন্দরে, বন্দর থেকে গ্রামে। এই ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই বাতাসে বেতার-তরঙ্গের সাহায্যে পরিচালিত হচ্ছে মোবাইল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক। ভূমির ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক দৃঢ় ও নিরবচ্ছিন্ন না হলে বাতাসের মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকেও কাক্সিক্ষত মানের সেবা পাওয়া সম্ভব নয়। প্রযুক্তির প্রজন্মের রূপান্তরে টু-জি থেকে ফোর-জি পর্যন্ত পথচলায় বড় যে বিবর্তন হয়েছে সেটিও ভূমিতে বিস্তৃত অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ঘিরে। এনটিটিএন লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কাজই হচ্ছে দেশজুরে ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ঘটিয়ে সারাদেশে টেলিযোগাযোগ সেবাকে সহজলভ্য করা। অপারেটর ও আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) কোম্পানীগুলো এনটিটিএন লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানীগুলোর কাছে এই সেবা গ্রহণ করবে। এনটিটিএন’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহক পর্যন্ত মানসম্মত সেবা পৌঁছে দেয়া। কিন্তু এনটিটিএন লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান, টেলিকম অপারেটর ও আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতা, ট্যারিফ নির্ধারণ না হওয়ায় এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা না নিয়ে নন-এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ করায় গ্রাহকরা মানহীন টেলিযোগাযোগ সেবা পাচ্ছে। কলড্রপ, নেটওয়ার্ক দুর্বলতাসহ নানামুখী সমস্যায় পতিত হচ্ছে গ্রাহকরা। সরকার ব্যান্ডউইথের দাম ১,২০,০০০/- টাকা থেকে কমিয়ে ৭২৪/- টাকা করেছে। সেই সাথে ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের স্ট্রীমের মূল্য বহুলাংশে কমালেও গ্রাহকের উচ্চমূল্যে সেবা নিতে হচ্ছে।
এনটিটিএন’র চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ
ক্স এনটিটিএন লাইসেন্স নীতিমালার অনুসারে এনটিটিএন লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এনটিটিএন নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা বা সেবা দিতে পারবেন না। বর্তমানে দেশের বড় শহরগুলোতে দেখা যায় একই এলাকায় একাধিক কোম্পানি ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে জটলা তৈরি করেছে এবং জাতীয় সম্পদের ক্ষতি করছে। এই জটিলতা নিরসন করাও এনটিটিএনের লাইসেন্স প্রদানের অন্যতম কারণ।
ক্স এএনএস (এডভান্সড নেটওয়ার্ক এন্ড সার্ভিসেস) অপারেটরগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও বেশি মানুষকে সেবা দেওয়ার অজুহাতে ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক স্থাপন ও ট্রান্সমিশন সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে যা এনটিটিএন লাইসেন্স নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে করে এনটিটিএন লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি তথা সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিটিআরসিকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ক্স টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের পূর্বের ফাইবার নেটওয়ার্কগুলোর অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষনের নামে নিজস্ব ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনী। এক্ষেত্রে বিটিআরসিকে এনটিটিএন নীতিমালা প্রয়োগ করে টেলিকম অপারেটরগুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। প্রয়োজনে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ক্স অবৈধভাবে অপটিক্যাল ফাইবার কোর লীজিং ব্যবসা পরিচালনা বন্ধ করতে হবে। রেলওয়ে কর্তৃক রবি ও গ্রামীণফোনকে দেওয়া টেন্ডার এনটিটিএন নীতিমালার পরিপন্থি। যদি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে কোর লীজিং এর একান্ত প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে বিটিআরসির গাইডলাইন অনুযায়ী লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকেই সে সুযোগ দেয়া উচিত।
ক্স বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান পিজিসিবি শুধুমাত্র তাদের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণের জন্য এনটিটিএন লাইসেন্স নিলেও নিয়ম বহির্ভুতভাবে এই প্রতিষ্ঠানটিও মোবাইল ফোন অপারেটরদের সাথে অনৈতিক ভাবে ফাইবার ট্রান্সমিশন সেবা দিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। অথচ বিদ্যুতের সঞ্চালন ব্যয়বৃদ্ধির সময় তারা এই আয়কে সমন্বয় না করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করেছে।
ক্স টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের নিজস্ব উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করে অন্যান্য এএনএস অপারেটরগুলোকে লীজ দিচ্ছে। যা কোন ভাবে কাম্য নয়। এক্ষেত্রে বিটিআরসি শুধুমাত্র এনটিটিএন লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যদের বাইরে থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় ইকুপমেন্ট আমদানি নিষিদ্ধ করতে পারে।
ক্স বিটিআরসি কর্তৃক এখনো পর্যন্ত এনটিটিএন অপারেটরগুলোর জন্য ট্রান্সমিশন ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয় নাই। যে কারণে গ্রাহকরা উচ্চমূল্যে সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছে এবং একেক অপারেটর একেক ধরণের মূল্য নির্ধারণ করছে। বিটিআরসিকে একটি নির্দিষ্ট ভিত্তিমূল্য ও বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ নির্ধারণ করে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।
ক্স একই এলাকায় একাধিক কোম্পানী ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার ফলে জাতীয় সম্পদের অপচয় হচ্ছে। একই সাথে বিপজ্জনক ভাবে ক্যাবলের জটলা দুর্ঘটনা ঝঁকি বাড়াচ্ছে এবং পরিবেশে ক্ষতি করছে। এনটিটিএন লাইসেন্সহীন প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রবির ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, আণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক পরিচালক ড. কামরুজ্জামান, পিজিসিবি’র পরিচালক প্রকৌশলী এম. আশরাফ হোসেন, ফাইবার@হোম’র রেগুলেটরী অ্যাফেয়ার্স ফারুক আব্বাসী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু বকর ছিদ্দিক, প্রেজেন্টশন উপস্থাপনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. ইসরাত হাসান।