পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর প্রথম কোন মামলার রায় দিতে যাচ্ছেন আদালত
প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট ২০২০

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইনে করা প্রথম কোন মামলার রায় দিতে যাচ্ছেন আদালত। রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা জনিকে থানায় পিটিয়ে হত্যার মামলায় আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রায় দিবেন আদালত। এ মামলায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জন আসামি। তাই এ রায়ের দিকে তাকিয়ে আছেন আইনজীবীরা। ভুক্তভোগী পরিবারে প্রত্যাশা, রায়ে সর্বোচ্চ সাজা হবে আসামিদের।
বন্ধুর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পুলিশ সোর্সের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করাই কাল হয়ে ওঠে ঝুট ব্যবসায়ী ইশতিয়াক হোসেন জনির। ২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাসা থেকে জনি ও তার ভাই রকিকে থানায় ধরে নিয়ে যায় সোর্স সুমন ও পল্লবী থানা পুলিশ। এরপর রাতভর পেটানো হয় তাকে। এক পর্যায়ে মারা যায় জনি। ভাইয়ের হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা করেন রকি।
পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার পর পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের। ৬ বছরের দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার শেষ হলো বিচার। নিহত জনির পরিবারের প্রত্যাশা, রায়ে দোষীদের সর্বোচ্চ সাজা হবে। জনির ভাই রকি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে একটা মামলার ৭ বছর আমার জীবন থেকে চলে গেছে। এটা আমি বলতে পারবো না, আমাদের কি কি পেতে হয়েছে।
এ মামলায় সুষ্ঠু বিচার হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যে আইনের ঊর্ধ্বে নন- এমন বার্তা পৌঁছাবে বলে আশাবাদ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল বলেন, পুলিশ হেফাজতে যদি কেউ মারা যায় তার জন্য এই আইনটি কার্যকর করা হয়। এমন আইনের প্রথম কোন মামলায় রায় হতে চলেছে।
এ মামলায় প্রধান আসামি এসআই জাহিদ ও পুলিশের দুই সোর্স গ্রেফতার আছেন। তবে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার পর পলাতক অপর ২ আসামি এসআই রাশেদুল ও এ এসআই কামরুজ্জামান।
সূত্র : সময় নিউজ


