করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আপনাকে যা যা করতে হবে
প্রকাশিত : ২১ মার্চ ২০২০

সাধারণ মানুষের জন্য করনীয়ঃ
১। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়া ।
 ২। সকল প্রকার লোকসমাগম , কনসার্ট, ওয়াজ মাহফিল উপেক্ষা করা উচিত।
 ৩। গণপরিবহন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
 ৪। বাইরে থেকে এসে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে দুই হাত ধুতে হবে, বাইরে থেকে এসে সম্ভব হলে গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ভালো ।
 ৫। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে এতে মুখে, নাকে, চোখে নিজের অপরিষ্কার হাত কিছুটা জীবাণু মুক্ত থাকবে।
 ৬। যেসব বস্তুতে গণমানুষের স্পর্শ লাগে, যেমন বাসের সিট, সিঁড়ির রেলিং, লিফটের সুইচ, দরজার নক, পানির কল, কম্পিউটারের মাউস, টেলিফোন, রিকশার বা গাড়ির হাতল, টাকা পয়সা ,পাবলিক লাইব্রেরীর বই, হাসপাতালের সিট, ট্রেনের কেবিনের সিট ইত্যাদি ধরলে সঙ্গে সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
 ৭। হাঁচি-কাশিতে টিস্যু বা রুমাল ব্যাবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু বা রুমাল যথাযথ জায়গায় ফেলতে হবে।
 ৮। মুখে মাস্ক ও হাতে হ্যান্ড গ্রোবস পরে বাইরে বের হওয়া।
 ৯। জ্বর, কাশি, গলাব্যথা হলে বা লক্ষন মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
 ১০। পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
 ১১। আপনার আশে পাশে কেঊ বিদেশ থেকে আসলে তার সাথে না মিশে হোম কোয়ারাইনটাইন এর পরামর্শ দেওয়া, না মানলে নিকটস্থ থানায় ফোন করে দেশ ও জাতিকে বাঁচানো আপনার দায়িত্ব ।
 ১২। আপনি বিদেশ ফেরত হলে সুস্থ বা অসুস্থ যাই হোন না কেন স্বেচ্ছায় ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারাইনটাইন যাওয়া।
সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য করনীয়ঃ
১। অফিসে যে কেউ ঢোকার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।
 ২। সম্ভব হলে রিমোটলি অফিস করার সুবিধা দেওয়া।
 ৩। টাকা পয়সার লেনদেন হয় এমন প্রতিষ্ঠানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার বাধ্যতামূলক নিশ্চিত করা।
 ৪। অফিসের প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট নিশ্চিত করা।
 ৫। অফিসে হাচি কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা।
সরকারের জন্য করনীয়ঃ
১। বিদেশ ফেরত হলে সুস্থ বা অসুস্থ যাই হোক না কেন ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারাইনটাইন নিশ্চিত করা।
 ২। ১৪ দিনের জন্য জ্রুরী অবস্থা ঘোষনা করা। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের যেন না হয় ।
 ৩। ব্যক্তিপর্যায়ের সতর্কতার নিশ্চিত করা ।
 ৪। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
 ৫। জাপানি ওষধ ফেভিপিরাভি দ্রুত আমদানি করা, যেটির সুফল চীন পেয়েছে।
 ৬। প্রচুর হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যু, টয়লেট পেপার , মাস্ক, সাবান ইত্যাদি হাসপাতালে সরবরাহ নিশ্চিত করা।
 ৭। ফেসবুকে, রেডিও, টেলিভিশন,অনলাইন ও সংবাদপত্রে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর করোনাভাইরাস বিষয়ক তথ্য প্রচার করে সচেতন করা।
 ৮। আলাদা মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা ও প্রতিটি জেলায় করোনা রোগিদের জন্য আলাদা জায়গা ঠিক করা।
 ৯।মৃত করোনা রোগিদের মাধ্যমে যেন আরো বেশি করে না ছড়ায় সেই ব্যাবস্থা করা।
 ১০। বিদেশি সকল ফ্লাইট আগামী ১ মাসের জন্য বন্ধ রাখা।
 ১১। সকল পরীক্ষা স্থগিত করা ।
 ১২। সকল প্রকার নির্বাচন স্থগিত করা , পাবলিক সমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান না করা।
সর্বপরি , মানুষের জীবণ সবার আগে এটা মাথায় রেখে যে যার জায়গায় থেকে সচেতন থাকতে হবে । সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হলে কোভিড-১৯ এর এই মহামারী মোকাবেলা করতে আমাদের সহজ হবে। বিদেশ ফেরত ভাইদের অনুরোধ করব , আপনার হোম কোয়ারাইনটাইন
 মেনে চলবেন, এতে প্রথমে নিরাপদে থাকবে আপনার পরিবার, যাদের জন্য কষ্ট করে আপনারা বিদেশে ছিলেন। তারপরে নিরাপদে থাকবে দেশ। অতিতে সকল মহামারী নিরাময়ে সাধারণ মানুষের ভূমিকা অনেক । আপনার ভূমিকায় পারে একটি জাতিকে বাচাতে, তাই এগিয়ে আসুন।
মোঃ আব্দুস সাত্তার
 লেখক, গবেষক ও আইটি ইঞ্জিনিয়ার

 
