আফগানিস্তানের একমাত্র যে এলাকায় তালেবানকে এখনো ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে


প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০২১

তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের সব এলাকা দখল করে নিলেও রাজধানী কাবুল থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি এক উপত্যকায় তাদের যোদ্ধারা এখনও প্রবেশ করতে পারেনি। আফগানিস্তানে এখনও পর্যন্ত এটিই একমাত্র ঘাঁটি যেখানে তালেবান যোদ্ধাদের প্রতিরোধ করা হয়েছে। শুধু এবারে তালেবান ঠেকানো নয়, গত ৪০ বছরের ইতিহাসে এই উপত্যকা বিভিন্ন সময়ে নানা বাহিনীর বহিরাক্রমণ প্রতিহত করেছে।

পাঞ্জশের উপত্যকায় ১৯৮০-এর দশকে (১৯৭৯-১৯৮৯) সোভিয়েত দখলদারিত্ব প্রতিরোধ করা হয়েছে। এসময় সোভিয়েত এবং আফগান সরকারি বাহিনীর অনেক আক্রমণ তারা ঠেকিয়ে দেয়। ইসলামপন্থী তালেবান বাহিনী ১৯৯০-এর দশকে (১৯৯৬-২০০১) যখন আফগানিস্তান দখল করে নেয়, সে সময়েও এই উপত্যকা ছিল তালেবান-বিরোধীদের একমাত্র ঘাঁটি। “গত দুই দশকে এই উপত্যকাকে আফগানিস্তানের অন্যতম নিরাপদ অঞ্চল বলে বিবেচনা করা হয়,” বলেন বিবিসির আফগান সার্ভিসের সাংবাদিক মরিয়ম আমান।

এবারেও আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে পাঞ্জশের উপত্যকা একমাত্র প্রদেশ, তালেবানের হাতে যার এখনও পতন হয়নি।কিন্তু তালেবান বলছে, এই এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য সেখানে তাদের যোদ্ধাদের পাঠানো হচ্ছে। “তালেবানকে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিহত করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি,” বলেছেন পাঞ্জশের অর্থনৈতিক দপ্তরের প্রধান আব্দুল রহমান। তার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন তালেবানের হাতে উৎখাত হওয়া আশরাফ গনি সরকারের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ।

প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তার অনুপস্থিতিতে মঙ্গলবার তিনি নিজেকে “আফগানিস্তানের বৈধ অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট” হিসেবে দাবি করেছেন। সালেহ আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান ছিলেন। তালেবানের বিরুদ্ধে পাঞ্জশের উপত্যকার এই প্রতিরোধ লড়াই-এ যোগ দেওয়ার জন্য তিনি আফগান জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বাকি দেশের জন্য পাঞ্জশেরের এই প্রতিরোধ একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, “তালেবানের সঙ্গে এক ছাঁদের নিচে আমি কখনোই দাঁড়াবো না। কখনোই না।

আপনার মতামত লিখুন :

এই বিভাগের সর্বশেষ