ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা ঘিরে সংসদ ভবন এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছে। শনিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ সেখানে এসে জড়ো হন। বেলা সাড়ে ১১টা বাজার আগেই পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় তারা ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাব’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। সবার কণ্ঠে একই আওয়াজ- হাদি হত্যার বিচার চাই।
এদিকে শহীদ হাদির জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও এর আশপাশের সকল প্রবেশ পথে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বডি ওর্ন ক্যামেরাসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। এ ছাড়া র্যাব ও আনসার সদস্যরাও রয়েছেন নিরাপত্তা নিশ্চিতে। পাশাপাশি বিশেষ টহলে রয়েছে সেনাবাহিনী। ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়কটির দুই প্রান্তে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হবে। পরে তার মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের কাছেই তাকে সমাহিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানাজায় অংশ নিতে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার অনুরোধ করা হয়। এছাড়া জানাজার সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষেধ বলেও উল্লেখ করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :