বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ মে, ২০২৫, ০৯:৩৪ সকাল

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। তখন জিয়াউর রহমানের বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর। এ উপলক্ষ্যে বিএনপি ৮ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুলে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে তিনি একটি সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে গৌরবময় দায়িত্ব পালন করেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বীরউত্তম খেতাব পেয়েছেন।

১৯৭৫ সালের ২৫ আগস্ট সেনাপ্রধান হন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লব তাকে রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে যায়। ছয় বছরের শাসনামলে জিয়াউর রহমান বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে এ জাতিকে মুক্ত করেন। 

গত ১৬ বছর স্বাধীনতার ঘোষকের শাহাদাত বার্ষিকী পালন করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছিল বিএনপি। তবে দলটির দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের আন্দোলনের পথ ধরে গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে এবং শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার দীর্ঘ সময় পর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিএনপি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রতিবছর দলটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে আওয়ামী সরকারের আমলে প্রশাসনের মাধ্যমে বিএনপির সব কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়া হতো। নিপীড়নের মাধ্যমে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি দাঁড় করানো হতো বিএনপিকে।

গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার দীর্ঘ সময় পর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি।

কর্মসূচি:

জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। এর মধ্যে রয়েছে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া, দুস্থদের মাঝে চাল-ডালসহ বস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা হয়েছে।

আজ ভোরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি আলোচনা সভা, মসজিদে মসজিদে গণদোয়া এবং দুস্থদের মধ্যে চাল-ডালসহ বস্ত্র বিতরণ করা হবে।

বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনগুলো জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিশেষ পোস্টার প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।

Link copied!