তিস্তায় সার্বিক নদী ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু অভিযোজন জরুরী: ক্লাইমেট পার্লামেন্ট


প্রকাশিত : ৮ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশের একার পক্ষে বৈশ্বিক জলবায়ুর সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এ জন্য বৈশ্বিকভাবেই এর মোকাবিলা করতে হবে। অভিন্ন নদী এবং পানি ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপুর্ন বিষয়। কারণ জলবায়ু সংকট মানে, পানিরও সংকট। তিস্তা নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং নদী অববাহিকায় জলবায়ু অভিযোজন ও সহনশীলতা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেছে সংসদ সদস্যদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নেটওর্য়াক ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) নিলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়াস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসর রেস্টহাউজের সভাকক্ষে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এক সংলাপে ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্যরা এসব কথা বলেন।

ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের আহবায়ক নাহিম রাজ্জাক এমপির সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারুল আবেদীন খান এমপি, সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ কর্মসূচির আইবিপি ম্যানেজার আবুল বাশার, প্রতীকি যুব সংসদের চেয়ারপার্সন মো: আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী প্রধান ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান, আর্থ সোসাইটির মাইশা নওশীন প্রমুখ।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহবুব হাসানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো: তবিবুল ইসলাম, ভাইস-চেয়ারম্যান নীরেন্দ্র নাথ রায়, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোছা: আয়েশা আক্তারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, উন্নয়ন সংস্থা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ। নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ দেশের সব চেয়ে একটি বড় সেচ প্রকল্প।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতার অংশ হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনায় একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে শুধু তিস্তাই নয়, তিস্তার শাখা-প্রশাখা-উপশাখার খনন এখন সময়ের দাবি। তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা বলতে শুধুমাত্র পানি ব্যবস্থাপনা নয়, তিস্তাকে ঘিরে জীববৈচিত্র্য, তিস্তা-নির্ভর মানুষের জীবন-জীবিকা, তিস্তা অববাহিকার ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা একইসাথে গুরুত্বপুর্ন।

নদীর বিজ্ঞানসম্মত খনন, তীররক্ষা, শাখা নদীগুলো উন্মুক্তকরণ, শাখা নদী খনন করা জীবনের স্বার্থেই অপরিহার্য। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি ধরে রাখার জন্য জলাধার নির্মাণও করতে হবে। নদী-তীরবর্তী কৃষি ব্যবস্থাপনা, সমবায়ী কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিস্তার দুই পাড় ভালোভাবে বাঁধানো গেলে ভাঙনের হাত থেকে ৫ জেলার নদীর তীরবর্তী মানুষ নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।

আলোচনা শেষে ক্লাইমেট পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প ও নদী ভাঙা এলাকা এবং চর পরিদর্শন করেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রকাশ কর্মসূচির আওতায় এই পরিদর্শন ও ক্লাইমেট টক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করছে প্রতীকি যুব সংসদ, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং আর্থ সোসাইটি।

 

আপনার মতামত লিখুন :

এই বিভাগের সর্বশেষ