মোবাইলে ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে ফেসবুক-মেসেঞ্জার

প্রকাশিত : ৯ নভেম্বর ২০২১

মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটে না থাকলেও চালানো যাবে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার। মঙ্গলবার থেকে শুধু গ্রামীণফোন গ্রাহকরা তা করতে পারবেন। এ জন্য মেটার সঙ্গে পার্টনারশিপে টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার চালু করেছে গ্রামীণফোন। খুব শিগগির অন্যান্য অপারেটর এ সেবা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, টেক্সট-ওনলি ফেসবুকের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা তাদের ইন্টারনেট শেষ হয়ে গেলেও পরবর্তী ব্যালেন্স টপআপ করার আগ পর্যন্ত ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের টেক্সট-ওনলি সংস্করণে কানেক্টেড থাকতে পারবেন। এ ছাড়া মোবাইল ওয়েব ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ‘ডিসকভার’ গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ১৫ মেগাবাইট ডেইলি ব্যাল্যান্সের মাধ্যমে কোনও ডেটা চার্জ ছাড়াই ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুযোগ করে দেবে। এর পাশাপাশি গ্রাহকেরা ডিসকভারের মাধ্যমে লো-ব্যান্ডউইথ ফিচার যেমন ফ্রি ডেটা দিয়ে বার্তা ও আইকন দেখতে পারবেন।

বিটিআরসি আয়োজিত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আনুষ্ঠানিকভাবে টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং মেটা ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, কানেকটিভিটি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক কার্যক্রম চালু রাখতে সহায়তা করছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ইন্টারনেট ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার একটি অসাধারণ উদ্যোগ। প্রান্তিক জনগণের তথ্য আদান-প্রদান এবং কালেকটিভিটি নিশ্চিত করে ডিজিটাল ডিভাইড কমাতে এটি সহায়তা করবে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, সর্বস্তরের মানুষের জন্য ডিজিটাল সমাধানের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোন উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যতম বড় ফেসবুক ইউজার বেসের প্রয়োজনীয়তা পূরণে একইসাথে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাতেই মেটা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগ আজকের এই উন্মোচন।

মেটার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অপারেটর পার্টনারশিপের ডিরেক্টর পল কিম বলেন, মানুষকে কানেক্টেড থাকতে সাহায্য করা এবং ইন্টারনেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ রিসোর্সে তাঁদের ধারাবাহিক অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরও উন্নত কানেক্টিভিটি এবং অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই প্রোগ্রামগুলোতে অবদান রাখতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ।

 

আপনার মতামত লিখুন :