ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়ে ভাবছে সরকার: বিএসএমএমইউ ভিসি


প্রকাশিত : ৫ আগস্ট ২০২৩

ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর সংক্রমণ রোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি সরকারের বিবেচনাধীন বিষয়। শনিবার (৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে ডেঙ্গু বিরোধী সামাজিক আন্দোলন চাই শীর্ষক গণমাধ্যমের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় উপাচার্য এ তথ্য জানান। উপাচার্য বলেন, বিএসএমএমইউতে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের বিষয়ে গবেষণা করে তৈরির ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নেব।

এ সময় ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগকে দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশনা দেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সারাবছর ডেঙ্গু নিয়ে কাজ হয় না বলেই আজ এ অবস্থা। স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে যে কোনো কাজ, গবেষণা করার জন্য উৎকৃষ্ট স্থান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে আমরা ডেঙ্গু রিসার্চ ইনস্টিটিউট গড়ে তুলবো। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরাও কাজ করবেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠার উদ্যোগটা ভালো। এজন্য মানুষকে সচেতন করতে আমাদের সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। সবাইকে জানাতে হবে, এখন ডেঙ্গুর ধরন পাল্টেছে। আগে দিনে মশা কামড়াতো, এখন ২৪ ঘণ্টা কামড়ায়। আগে পরিষ্কার পানিতে মশার লার্ভা পাওয়া যেতো, এখন ময়লা পানিতেও পাওয়া যায়। সবাইকে আরও বেশি করে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বাসায়, ছাদে, ফুলের টবে কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কমোড ব্যবহারের পর ঢেকে রাখতে হবে। আগামীকাল থেকে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই প্রয়োগ করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এটি সিঙ্গাপুরে খুব ভালো কাজ করছে, আশা করছি আমাদের এখানেও কাজ করবে।

ডেঙ্গু সংক্রমণ মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শাহসুল হক টুকুকে প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলমকে উপদেষ্টা এবং বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। সভাপতি করা হয়েছে দৈনিক বঙ্গজননী ও দ্যা ন্যাশনাল নিউজ ইউএসএর প্রধান সম্পাদক আলী নিয়ামতকে।

এ ছাড়া জাতিসংঘ মানবাধিকার উইংয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুবিনা খান, ক্যাটের সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক উপাচার্য ড. রশিদ আসকারী, উইয়ের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশাকে সহসভাপতি করা হয়েছে। এছাড়া বিএসএমএমইউর সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদকে সদস্য সচিব ও দৈনিক বঙ্গজননীর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান জিয়াকে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :

এই বিভাগের সর্বশেষ