শার্শা দুদিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষকের ফসল পানিতে

প্রকাশিত : ৮ ডিসেম্বর ২০২১

মো. শামিম হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি:
জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে যশোরের শার্শা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ধান সহ বিভিন্ন ফসলি জমি। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার শতশত কৃষকরা। নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে আমন ধান সহ বিভিন্ন রবিশস্য।

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায় ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে শার্শা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ক্ষেতের ফসল। শত শত কৃষকের শেষ স্বপ্ন আমন ধান ডুবে রয়েছে পানিতে। রবি শস্য ও সবজি ক্ষেতের একই অবস্থা। কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও মাজা পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে কৃষকের শেষ স্বপ্ন।

শার্শা উপজেলার বেনাপোল, পুটখালী, বাগঅঁাচড়া, কাশিপুর এলাকার কাটা ধানসহ শত শত হেক্টর ধান, সরিষা, মসুর সহ সবজি ক্ষেত জমে থাকা পানিতে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। শেষ সম্বল সহ এনজিওর ঋণের বোঝা নিয়ে ক্ষেতে টাকা বসায়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক। এমন পরিস্থিতিতে গভীর চিন্তায় মাথায় হাত উঠেছে তাদের। রবি শস্য সহ ধানের ব্যাপক ক্ষতি কখনো পোষানো যাবেনা বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

কৃষকরা আরো বলেন ডুবে যাওয়া এ সমস্ত আবাদি জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পর কিছুটা ধীর গতিতে পানি টানতে শুরু করেছে। পরিপূর্ণ পানি সরে যাওয়ার আগেই চাষিরা সর্বশান্ত হয়ে যাবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের পরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীল বলেন চলতি বছরে এই উপজেলায় ২০ হাজার ৩৮০ হেক্টর ধান, ২ হাজার ৮৪০ হেক্টর সরিষা এবং ৮৩০ হেক্টর জমিতে মসুরের আবাদ হয়েছে। ধানের পাশাপাশি সরিষা এবং মসূরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যা একজন কৃষকের ঘুরে দঁাড়ানো কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা সব সময় নিম্নাঞ্চলের কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি। জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষযোগ্য ফসল করতে সার বীজসহ বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করা হবে কৃষকদের।

ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কৃষকের সৃষ্ট এ ক্ষতি পুষাবার নয়। কৃষি ও কৃষককে বঁাচাতে অতি দ্রুত প্রয়োজন সরকারের প্রণোদনা। এ অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য কামনা করেছেন এ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

আপনার মতামত লিখুন :