পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান লন্ডভন্ড করে দিয়েছে কৃষকদের স্বপ্ন

প্রকাশিত : ১ জুন ২০২০

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান লন্ডভন্ড করে দিয়েছে কৃষকদের স্বপ্ন। প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩’শ একর জমির সবজি ক্ষেত পুরোটাই ক্ষতি হয়েছে। দিশেহারা হয়ে পড়েন কৃষকরা। এদিকে কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তরনে পরামর্শ প্রদান করছেন বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নীলগঞ্জ, কুমিরমারা, মজিদপুর ও পূর্ব সোনাতলাসহ ৮টি গ্রামের সবজির গ্রাম নামেই পরিচিত। এখানকার উৎপাদিত সবজি কলাপাড়া ও পার্শ্ববতী উপজেলা সহ জেলা সদরের অনেকটা চাহিদা মিটতো। কিন্তু ঘূর্নিঝড় আম্ফান ওইসব এলাকার কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এর ফলে অনেক সবজি চাষি একেবারে পথে বসে গেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার তিন হাজার হেক্টর জমিতে শাক সবজির,মরিচ, ভুট্টা, মুগ ডাল, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, মিষ্টি আলু ও আউশ ধানরে চাষ হয়েছে।

এর মধ্যে ঘূর্নিঝড় আম্ফানে একশ ২১ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি সাধন হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আম্ফানের তান্ডবে অনেক গাছের চারা উপরে গেছে। কোন কোন সবজি ক্ষেত ফাঁকা পড়ে রয়েছে। আবার অনেক ক্ষেতের গাছের পাতা গুলো বিবর্ন হয়ে গেছে। এছাড়া ক্ষেতের মধ্যে জমে থাকা পানি নামানোর কাজও করছে কৃষকরা। একই দশা হয়েছে ইউনিয়নের ৮ টি গ্রামের কৃষকের সবজি ক্ষেত। একারনে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক দু:শ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক জাকির হোসেন গাজী বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই তার সবজি বাজারে বিক্রি করা কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্নিঝড় আম্ফান তার ক্ষেতের ফসল একেবারেই নষ্ট করে ফেলেছে। একই এলাকার কৃষক ইউনুস মেকার বলেন, বৃষ্টি আর প্রচন্ড বাতাসের তান্ডবে ক্ষেত একবারে শেষ হয়ে গেছে। এমন ঝড়ো হাওয়া তারা এর আগে কখনও দেখেনি বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তরনে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষককে সব রকমের পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান করে যাচ্ছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে প্রনোদনা স্বরুপ সবজি প্রদর্শনী করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :