মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী!

প্রকাশিত : ৮ জুন ২০২০

মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম করোনা সংক্রমণে মারা যাননি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্দেশে গোপন অভিযানে দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যা করা হয়েছে। লন্ডনের একটি প্রভাবশালী সংবাদপত্র এ দাবি করেছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।  রোববার (০৮ জুন) ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রটিতে এই খবর প্রকাশ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করাচিতে কঠোর নিরাপত্তায় মোড়া ডনের (দাউদ ইব্রাহিম) আড্ডায় কয়েক মাস আগে এই অভিযানটি চালিয়েছিল সেনাবাহিনীর চিকিৎসক শাখা। যেভাবে হঠাৎ একের পর এক অঙ্গ বিকল হয়ে দাউদের মৃত্যু হয়েছে, তা থেকে মনে হয়েছে, সম্ভবত কোনো বিষাক্ত রাসায়নিক ইঞ্জেকশন দেয় হয়েছিল তার দেহে। তবে শনিবার দাউদের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরে তার ভাই আনিস ইব্রাহিম মুম্বাইয়ের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘ভাই’ (দাউদ) এবং তার ডান হাত ছোটা শাকিল সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।

অবশ্য লন্ডনের সংবাদপত্রটিকে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর নির্দেশেই আনিস এই বার্তা পাঠিয়েছে। কারণ দাউদের পরিবারকে ডনের মৃত্যুসংবাদ অস্বীকার করার নির্দেশই দিয়েছে আইএসআই। লন্ডনের সংবাদপত্র জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে দাউদকে ঝেড়ে ফেলতে তৎপর হয় পাকিস্তানে শাসন ক্ষমতার অন্যতম নিয়ন্ত্রক সেনাবাহিনীর একাংশ। তখন থেকেই দাউদকে হত্যার পরিকল্পনা সাজানো শুরু হয়।

সূত্র জানিয়েছে, মূলত মার্কিন চাপেই এই সিদ্ধান্ত। বহু মার্কিন নাগরিককে হত্যায় অভিযুক্ত দাউদকে করাচি-ছাড়া করার জন্য পাকিস্তানের ওপরে চাপ দিচ্ছিল আমেরিকা। ভারতও দাউদ ও পশ্চিম এশিয়ার নানা জায়গায় থাকা তার আত্মীয় স্বজনদের বিষয়ে মার্কিন এবং অন্য কয়েকটি দেশের গুপ্তচর সংস্থাকে সমানে গোয়েন্দা রিপোর্ট সরবরাহ করে গোপন অভিযানের জন্য চাপ বাড়াচ্ছিল।

গোয়েন্দা সূত্র লন্ডনের সংবাদপত্রটিকে জানিয়েছে, অ্যাবটাবাদে মার্কিন অভিযানে বিন লাদেনের মৃ্ত্যুর পরে যেভাবে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি চায়নি বলেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাউদের হাত থেকে ‘নিষ্কৃতির’ পরিকল্পনা করেছিল। তাই তারা দাউদকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপরাধ জগতে তার প্রভাব আটকাতে মৃত্যুসংবাদ গোপনের কৌশল নেয়।

তবে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রোববার জানিয়েছেন, দাউদের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট খবর তাঁদের কাছে নেই। প্রসঙ্গত, ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর থেকেই ভারত, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দাউদকে আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করে আদালতে হাজির করার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ দিচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :