করোনায় মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে বেকার সংখ্যা

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০২০

করোনা মহামারিতে মধ্যপ্রাচ্যে দিনদিনই বাড়ছে বেকার সংখ্যা। ইসরায়েলে লকডাউনে চাকরিচ্যুত হয়ে অনেকেই বাধ্য হয়েছেন পেশা বদলাতে। সরকারি বেকারভাতা পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। আর্থিক সহায়তা আটকে আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। ১৫ বছর ধরে স্টেজ টেকনিশিয়ানের কাজ করছেন ইসরায়েলের এক নাগরিক। বিভিন্ন গান নাচের ইভেন্টের আয়োজন করতেন তিনি। করোনা বিপর্যয়ে বিলাসবহুল জীবনের ছিটেফোটাও নেই এখন। লকডাউনে বেকার হয়ে পেশা বদলে তেল আবিবে বিক্রি করছেন স্যান্ডউইচ। মহামারি তাকে বাধ্য করেছে শখ আর পেশা দুটোই ছেড়ে শুধু বাঁচার জন্য আয় করতে। লকডাউনে তার মতো বেহাল অবস্থা হয়েছে ইসরায়েলের হাজার হাজার কর্মজীবীর।

টেকনেশিয়ান বলেন, ৫ মাস ধরে বেকার। আমার সাথেই কাজ করতো, আমার এমন এক বন্ধু আমাকে প্রতিদিন এসে জিজ্ঞাসা করে, আমার কি অবস্থা? এটা ভেবে খুবই কষ্ট পাই যে, আমি কাল কি ছিলাম, আজ কি হয়েছি। আমিতো কিছুই না এখন।লকডাউনে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে ঠিকই, কিন্তু বেকারত্ব হার পৌঁছেছে ২৮ শতাংশে। যারা উদ্যোক্তা ছিলেন, তারা পাচ্ছেন না বেকার ভাতাও। প্রধানমন্ত্রীর নানা আশ্বাসও যেন আশায় গুড়ে বালি।

ওই টেকনেশিয়ান আরও বলেন, সরকার আমাদের জন্য আসলে কি করছে? সরকারের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, একটু মানবিক হোন আমাদের প্রতি। এতোটা স্বার্থপর হবেন না। মে মাস থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নিতে শুরু করলেও সংক্রমণ আবারো বাড়তে থাকায় পুনরায় নিতে হয়েছে লকডাউনের সিদ্ধান্ত। বেকারত্ব হার কমতে শুরু করলেও ঠেকেছে ২১ শতাংশে। চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য ৩ হাজার কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।

আপনার মতামত লিখুন :