বার্সাও চায় লিওনেল মেসিকে বিক্রি করে দিতে!

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২০

লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে যাবেন? অতীতে এমন গুঞ্জন যতবারই উঠেছে, বার্সাই সেটা বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছে। কোনোমতেই মেসিকে তারা ছাড়বে না, জোর দিয়েই বলেছে বারবার। তবে সেই দিন আর নেই। বার্সেলোনা এখন আর সুখের ঘর নয় মেসির। মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় আর্জেন্টাইন খুদেরাজ রীতিমত বিরক্ত ক্লাবের ওপর। তিনিও বিকল্প ভাবছেন। এমনকি নতুন খবর হলো, বার্সার বোর্ড সদস্যদের কয়েকজন নাকি এখন মেসিকে বিক্রি করে দেয়ার পক্ষেই।

অনেকদিন ধরেই সমস্যা চলছিল। চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮ গোল খাওয়ার পর বার্সা যেন একদম খাদের কিনারায় পৌঁছে গেছে। কোচ কিকে সেতিয়েনকে ছাঁটাই করে নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বরখাস্ত হয়েছেন ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর এরিক আবিদালও। পরিবর্তন আরও আসবে। লুইস সুয়ারেজ আর জর্ডি আলবার চলে যাওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে। সব কিছুই যখন ঢেলে সাজানো হবে, মেসি আর থেকে কি করবেন! বার্সা সুপারস্টার নিজেও এখন তার ভবিষ্যত নিয়ে সন্দিহান। ক্লাব বদলের ব্যাপারটি এখন তাই আর পুরোপুরি গুঞ্জন নয়।

বার্সার বোর্ডে থাকা বেশিরভাগ সদস্যই অবশ্য মেসির চলে যাওয়ার গুঞ্জন নিয়ে ওতটা বিচলিত নন। কেননা এখনও ক্লাবের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি আছে আর্জেন্টাইন জাদুকরের। তারা মনে করেন, নতুন কোচ কোম্যান মেসির ‘চলে যাওয়ার কথা ভাবা’ মন পরিবর্তন করতে সক্ষম হবেন। তবে ক্লাবের উচ্চ পর্যায়ের এক সূত্র ‘ইএসপিএন’কে জানিয়েছে, তারা কেউ কেউ মনে করেন-মেসি যদি বার্সেলোনায় আর নিজেকে সুখী মনে না করেন, তবে বড় প্রস্তাব পেলে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা ভাববে কাতালান ক্লাবটি।

যদিও মেসির রিলিজ ক্লজ বহন করার ক্ষমতা কোনো ক্লাবের এই মুহূর্তে হবে কি না, সেটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহই আছে। বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী মেসিকে নিতে হলে এখন বার্সাকে দিতে হবে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার ওপরে)। এছাড়া বার্সায় মেসির মাসিক বেতন ৮.৩ মিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ৭৯ কোটি টাকা। এত খরচ বহন করে কোনো ক্লাব মেসিকে এখন নিতে না পারারই কথা।

তার চেয়ে বরং যদি মেসি চুক্তি আর নবায়ন না করেন, তবে এক বছর পর তাকে সহজেই নিয়ে নিতে পারবে যে কোনো ক্লাব। সেই অপেক্ষাতেই হয়তো বেশিরভাগ ক্লাব। তবে বার্সাও বসে নেই। প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তোমেউ চান, যে করেই হোক মেসিকে যেন রাখা যায়। এমনকি আগামী বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার আগে আরও দুই বছর মানে ২০২৩ পর্যন্ত চুুক্তি করে রাখতে চান তিনি। তবে মেসি যেমন খেপে আছেন, এখন চুক্তির কাগজ সামনে নিয়ে গেলে হয়তো ছুড়েই ফেলবেন!

সূত্র : অনলাইন

আপনার মতামত লিখুন :