বাংলা‌দে‌শে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ রফতা‌নির অনুম‌তি দিল ভারত

প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলা‌দে‌শে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ রফতা‌নির অনুম‌তি দি‌য়ে‌ছে ভারত। শুক্রবার দি‌ল্লি‌তে ভার‌তের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বা‌ণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ডায়‌রেক্ট‌রেট জেনা‌রেল অব ফ‌রেন ট্রেড এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নি‌য়ে‌ছে। দি‌ল্লি‌তে বাংলা‌দেশ হাই ক‌মিশ‌নের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ভারত সরকার এ সিদ্ধান্ত নি‌য়ে‌ছে ব‌লে বিশ্বস্ত সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির এক কর্মকর্তা বলেন, জোরালো বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ভারত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।

এর আগে গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এ ঘটনার পর থেকে ২৫০ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের বিভিন্ন সড়কে আটকা পড়েছে।ইতোমধ্যেই লোডিং থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ৯ থেকে ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ায় অতিরিক্ত গরম আর বৃষ্টির কারণে এসব পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় এসব পেঁয়াজ রপ্তানি না করলে, আমদানিকারকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও আমদানি-রপ্তানি সংস্থাগুলোর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন স্থলবন্দরে কত ট্রাক রয়েছে এবং তাতে পেঁয়াজের পরিমাণ কত তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সত্ত্বর জানাতে বলা হয়। সেই কারণে তাদের ধারণা ছিল বুধবার যে কোনো সময় ট্রাক ও ওয়াগনগুলো বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দিতে পারে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এ দিকে, হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, বিভিন্ন স্থলবন্দরে এখন যে সব পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক ওয়াগন দাঁড়িয়ে আছে, এগুলো বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া না হলে অচিরেই বেশিরভাগ পেঁয়াজ পচে নষ্ট হবে, এতে উভয় দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরাই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

তিনি জানান, বিভিন্ন স্থলবন্দরে আনুমানিক ২০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক অপেক্ষা করছে, যেগুলো গত রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এলসির বিপরীতে সঠিকভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েই এসেছে এবং তা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ার কথা নয়, তার পরেও কেন এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? এই পচনশীল পণ্যটি বাংলাদেশে না গেলে ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে দুই দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের।

আপনার মতামত লিখুন :