বিদ্রোহীদের গোলায় ৫১ সিরীয় সেনা নিহত, দাবি তুরস্কের

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইদলিবে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তুরস্কের তুমুল সংঘর্ষ চলছে। অঞ্চলটিতে একে-অপরকে লক্ষ্য করে মর্টার শেল থেকে গোলাবর্ষণ করছে তারা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-মাজদার নিউজ জানায়, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইদলিবে একে-অপরের অবস্থান লক্ষ্য করে ভারী মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে সিরিয়া ও তুরস্কের সামরিক বাহিনী। যদিও অঞ্চলটিতে বিদ্রোহীদের হামলায় এরই মধ্যে রুশ সমর্থিত সিরীয় সেনাদের ৫১ সদস্যের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দাবি আঙ্কারার।

তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, তুরস্কের সমর্থিত বিদ্রোহীরা এখন পর্যন্ত সিরিয়ার দুটি ট্যাংক ও গোলাবারুদের ভাণ্ডারও ধ্বংস করেছে। তারা ক্রমশ নিজেদের আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে। এ দিন সিরিয়ার একটি সামরিক হেলিকপ্টারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বিধ্বস্ত করে তুরস্ক। এর আগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল সিরীয় সেনারা। এতে তুর্কি সামরিক বাহিনীর ৫ সদস্যের প্রাণহানি ঘটে।

মূলত এসব ঘটনার পর তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আঙ্কারার দাবি, এবার তাদের পাল্টা আক্রমণে সিরীয় সেনাবাহিনীকে বিধ্বস্ত করা হবে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তুর্কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল ওলকাজি ডেনিজের বলেছিলেন, সিরীয় সেনাদের যে কোনো হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। ইদলিবে আমাদের সেনাদের আরও বড় অবস্থান থাকবে এবং তারা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রুশ সমর্থিত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নির্দেশে সম্প্রতি বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবে জোরালো সেনা অভিযান শুরু হয়। আর এতেই নতুন করে শরণার্থীদের ঢল নামার আশঙ্কায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা ও সাঁজোয়া যান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩১ জানুয়ারি তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, অবিলম্বে ইদলিবে যুদ্ধবিরতি দেওয়া না হলে তুরস্কের সামরিক বাহিনী সেখানে ভয়াবহ অভিযান শুরু করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার মানুষ ইদলিব ছেড়ে পালিয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। বর্তমানে তুরস্কে আশ্রিত অবস্থায় আছে আরও ৩৫ লাখের অধিক সিরিয়ান শরণার্থী। যদিও উত্তেজনার কারণে নতুন করে শরণার্থীদের ঢলের আশঙ্কায় রয়েছে পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটি।

আপনার মতামত লিখুন :