শেষ ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ৯ আগস্ট ২০২১

শেষ ম্যাচে কিছু পাওয়ার বদলে লজ্জায় ডুবল অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের দেওয়া ১২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬২ রানেই গুটিয়ে গেল সফরকারীরা। টি-টোয়েন্টিতে যা অজিদের সর্বনিম্ন স্কোর। বাংলাদেশ পেল ৬০ রানের বড় জয়। এই জয়ের সুবাদে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ এ নিজেদের করল টাইগাররা। প্রথম তিন ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ ম্যাচটা জিতে নেয় অজিরা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো করলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় বড় পাঁজি গড়তে পারেনি দলটি। ৮ উইকেটে ১২২ রান তুলতে পারে। জবাবে ১৩.৪ ওভারে মাত্র ৬২ রানেই গুটিয়ে যায় অজিরা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। ১৭ রান আসে বেন ম্যাকডারমটের ব্যাট থেকে।

বোলিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষে এদিন সবচেয়ে সফল সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে ৪ ওভারে ৫০ রান খরচ করে ছিলেন উইকেট শূন্য। আর এদিন ৩.৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট।

সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ১১তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তিনি। এ ছাড়া শুরুতে নিজের দুই ওভারে ২ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রাখেন নাসুম আহমেদ। ১ উইকেট নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

এর আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম। ২৩ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান মাহমুদউল্লাহর। ১৪ বলে ১ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

এ ছাড়া সৌম্য সরকার ১৮ বলে ১৬, মেহেদি ১২ বলে ১৩, আফিফ ১১ বলে ১০ রান করেন।

অজিদের পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাথান এলিস ও ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। একটি করে উইকেট নেন অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাডাম জাম্পা।

ম্যাচসেরার সঙ্গে সিরিজ সেরাও হয়েছেন সাকিব আল হাসান।

৫৪ রানে ৭ উইকেট নেই অস্ট্রেলিয়ার

ইনিংসের ১১তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১২তম ওভারে সাকিব আল হাসান আক্রমণে এসে তুলে নিলেন অ্যাশটন টার্নারকে। ফলে ১১.২ ওভারে মাত্র ৫৪ রানে ৭ উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া।

১২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে দলটি।

সাইফউদ্দিনের জোড়া শিকারে বাড়ল আশা

১১তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সুবাদে ১২২ রানের পুঁজি নিয়েও জয়ের আশা বাড়ল বাংলাদেশের।

সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড ক্যারি

অ্যালেক্স ক্যারিকে সরাসরি বোল্ড করে ফেরালেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১০.৩ ওভারে ৫৩ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ল অজিদের। ক্যারি ৭ বলে ৩ রান করেছেন।

ওয়েডের পর ফিরলেন ম্যাকডারমট

পর পর দুই ওভারে উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া। সাকিব আল হাসানের শিকার হলেন ম্যাথু ওয়েড। এরপর মাহমুদউল্লাহর শিকার বেন ম্যাকডারমট।

৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া ৩১/২

বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া।

৬ ওভার অর্থাৎ পাওয়ার প্লে শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৩১/২।

ফের নাসুমের আঘাত, ফিরলেন মার্শ

চলতি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল ব্যাটারের নাম মিচেল মার্শ। তাকেও দ্রুত তুলে নিলেন নাসুম আহমেদ। নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মার্শকে এলবিডব্লিউ করলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

ফলে ৩.৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১৭/২। ৯ বলে ৪ রান করেছেন মার্শ। অন্যদিকে দুই ওভারে ২ উইকেট পেলেন নাসুম।

আক্রমণে এসেই ক্রিশ্চিয়ানকে ফেরালেন নাসুম

আগের ম্যাচে সাকিব আল হাসানের এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। এদিন যিনি ওপেনিংয়ে উঠে আসেন। কিন্তু তাকে শুরুতেই তুলে নিয়েছেন নাসুম আহমেদ। নিজের প্রথম বলেই ফিরিয়েছেন সরাসরি বোল্ড করে।

৩ বলে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ান। ১.১ বলে ৩ রানে প্রথম উইকেটের পতন অজিদের।

ভালো শুরুর পরও বাংলাদেশের পুঁজি ১২২

ওপেনিং জুটিতে বদল এনে সুফল পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারেনি পরে। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্কোর বোর্ডে ৮ উইকেটে ১২২ রানের বেশি জমা করতে পারেনি স্বাগতিকেরা। ৩-২ এ সিরিজ শেষ করতে ১২৩ রান করতে হবে অজিদের।

বাংলাদেশের ইনিংসের ৪২ রানই এসেছে মোহাম্মদ নাঈম ও মেহেদি হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে। সৌম্য সরকারকে এদিন নিচের দিকে ঠেলে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়েছিল মেহেদিকে।

সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন নাঈম। ২৩ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান মাহমুদউল্লাহর। ১৪ বলে ১ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। সৌম্য সরকার ১৮ বলে ১৬, মেহেদি ১২ বলে ১৩, আফিফ ১১ বলে ১০ রান করেন।

অজিদের পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাথান এলিস ও ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। একটি করে উইকেট নেন অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাডাম জাম্পা।

সৌম্য ফিরলেন ১৬ রান করে

আগের চার ম্যাচের কোনোটিতেই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। তাই একাদশে সুযোগ পেলেও ওপেনিংয়ে জায়গা হারান সৌম্য সরকার। তবে ১৬ রানের বেশি করতে পারলেন না তিনি।

ক্রিশ্চিয়ানের করা ১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে ফিরেছেন সৌম্য। লফটেড অফ ড্রাইভ করেছিলেন এই বাঁহাতি। কিন্তু বল সীমানা খুঁজে পায়নি। ধরা পড়েন অ্যাশটন টার্নারের হাতে। ১৪.৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯৬/৫।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে ফিরলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৮৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

মাহমুদউল্লাহ অ্যাশটন অ্যাগারের শিকার হয়েছেন। শর্ট বলটি খেলতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু টাইমিং ঠিকমতো হয়নি। ওপরে ওঠে যায় বল, নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন অ্যাগার। ১৪ বলে ১ ছক্কায় ১৯ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ।

নাঈমের পর সাকিবেরও বিদায়

পর পর দুই ওভারে উইকেট হারাল বাংলাদেশ। নবম ওভারে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। দশম ওভারে ফিরলেন সাকিব আল হাসান।

অ্যাডাম জাম্পার করা দশম ওভারের ষষ্ঠ বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন সাকিব। ২০ বলে ১১ রান করেছেন এই বাঁহাতি। ফলে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬০/৩।

নাঈমও ফিরলেন

মেহেদি হাসানের পর আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমকেও হারাল বাংলাদেশ। ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে অ্যাগারের হাতে ক্যাচ হন নাঈম।

৮.২ বলে ৫৭ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হলো টাইগারদের। সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার এখন ব্যাট করছেন।

ভালো শুরুর পর মেহেদির বিদায়

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। ৪ ওভারে ৩৫ রান তুলে টাইগাররা। ৩ ওভার শেষে রান ছিল ৩৩। তবে এমন শুরুর পর অ্যাশটন টার্নারের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফিরে গেলেন মেহেদি হাসান। ভাঙল বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি।

এদিন সৌম্য সরকারের জায়গায় মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে উঠে আসেন মেহেদি। আগের ম্যাচগুলোতে যিনি নিচের দিকে ব্যাট করেছেন।

উদ্বোধনী জুটি বদলের সুফলও পায় বাংলাদেশ। সিরিজে আগের চার ম্যাচের তুলনায় বেশ ভালো শুরু পায় টাইগাররা। কিন্তু টার্নারের শিকারে মেহেদি ফিরলেন। ৪.৩ ওভারে ৪২ রানে প্রথম উইকেট পড়ল টাইগারদের।

১২ বলে ২ চারে ১৩ রান করেছেন মেহেদি। টার্নারের করা শর্ট লেংথের বল পিছিয়ে গিয়ে পুল করতে চেয়েছিলেন তিনি। বল একটু থেমে আসায় টাইমিং করতে পারেননি। শট খেলার সময় তার হাত থেকে ব্যাট ছুটে যায়। বল আকাশে উঠে গেলে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নেন অ্যাস্টন অ্যাগার।

দুই পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, টিকে গেলেন সৌম্য

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার সন্ধ্যায় ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এর আগে বিকেল ৫টায় টস অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাগতিকেরা একাদশে দুটি পরিবর্তন আনলেও প্রথম চার ম্যাচে ব্যর্থ সৌম্য সরকার আরো একটা সুযোগ পেলেন। একাদশে রয়েছেন এই বাঁহাতি।

প্রথম চার ম্যাচই বাংলাদেশ একই একাদশ নিয়ে খেলেছে। এম্যাচে শামীম হোসেন ও শরিফুল ইসলামের জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাইফউদ্দিন। শরিফুল নেই চোটের কারণে।

অস্ট্রেলিয়া দলেও দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের ম্যাচে বিশ্রাম পাওয়া অ্যাডাম জাম্পা ও নাথান এলিচ একাদশে ফিরেছেন। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে অ্যান্ড্রু টাই ও জস হ্যাজলউডকে।

সিরিজে ৩-১ এ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম তিন ম্যাচই জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা। চতুর্থ ম্যাচটা জিতে অস্ট্রেলিয়া।

এই ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ব্যবধান ৪-১ করার, অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ৩-২।

বাংলাদেশ একাদশ

সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদ।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ

ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), বেন ম্যাকডারমট, মিচেল মার্শ, ময়জেস হেনরিকেস, অ্যালেক্স ক্যারি, ড্যান ক্রিস্টিয়ান, অ্যাশটন টার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, নাথান এলিস, মিচেল সোয়েপসন ও অ্যাডাম জাম্পা।

আপনার মতামত লিখুন :