কাবুলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বোরকার দাম

প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট ২০২১

তালেবানের কাবুল অভিযানের খবরেই বেড়ে গেছে বোরকা বিক্রি। কারণ, আগের তালেবান শাসনের সময় বোরকা পরা ছিল বাধ্যতামূলক। ২০০১ সালে মার্কিন অভিযানে তালেবান সরকারের পতন হয়। এরপর আফগান নারীদের বাধ্যতামূলক বোরকা পরার বিষয়টি উঠিয়ে দেয়া হয়।

দোকানিরা দ্য গার্ডিয়ানকে জানান, এত দিন রাজধানীর আশপাশের নারীরা দলে দলে বোরকা কিনেছেন। এখন কাবুলের নারীরা বোরকা কিনছেন। ক্রেতারা জানাচ্ছেন, যে বোরকা কিছুদিন আগেও ২০০ আফগানি মুদ্রায় বিক্রি হচ্ছিল, তা এখন ২ থেকে ৩ হাজার আফগান মুদ্রায় বিক্রি হচ্ছে। আয়লা নামের এক নারী জানান, কাবুলে নারীদের মধ্যে ভয় যেমন বেড়েছে, রোবকার দামও তেমন বেড়েছে।

নীল রঙের বোরকা দিয়ে বিশ্বে আফগান নারীদের চিহ্নিত করা হয়। কিছুটা ভারী কাপড়ে তৈরি এই বোরকা মাথা থেকে পা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ঢেকে রাখে। চোখের সামনে থাকে নেটের কাপড়। এখন আফগানিস্তানে বোরকার বিক্রি এতটা বেড়ে গেছে যে দোকানে যেভাবে সারি সারি বোরকা ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে, সেখানে ভারী পর্দা লাগানো হয়েছে।

গতকাল রোববার কাবুল দখলের পর তালেবান মুখপাত্র বলেন, নারীরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে। কাজ ও শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। তবে ইতিমধ্যে তালেবান নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকটি প্রদেশে চাকরিজীবী নারীদের চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কিছু জায়গায় নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন খবরও পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে হেরাত শহর তালেবান বাহিনীর দখলে যাওয়ার পর অনেক বয়স্ক নারীই পরিবারের ছোট মেয়েদের জন্য বোরকা কিনতে বের হন।

আপনার মতামত লিখুন :