লজ্জা হয় আপনি বাংলাদেশের একজন ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ ২০২০

ইয়াসমিন আক্তার, লন্ডন থেকে:  হ্যাঁ,আপনিই সেই লজ্জা ! সারা বাংলাদেশের লজ্জা,কোটি কোটি মানুষের লজ্জা আর ঘৃণা,এ লজ্জার নাম মিস সাইয়েমা হাসান। গড়নে মানুষের মতো হলেও মানুষ হতে পারেন নি যিনি।

একদিকে ভয়াবহ এ মহামারিতে মানবতার কাছে বলি হচ্ছে শত শত তাজা প্রান,মানবতার সেবায় শত শত ডক্টরের মৃত্যু। মৃত্যুর নিশ্চয়তা এবং ভয়াবহতা জেনেও প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিলে আপন প্রাণ বাজি রেখে বিশ্বের সমস্ত দেশে দেশে করোনায় আক্রান্ত মানুষেরদের নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকেরা। একই সময়ে এই দুর্যোগের মুহূর্তে অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়ে নিরাপদ রাখার চেষ্টা না করে অপমান আর অপদস্থ করে বিশ্ব কে দেখিয়ে দিলেন উনার বিশেষ ক্ষমতা!

তিনি কোনো মহিয়সী নারী নন,বাংলাদেশে সরকারি বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন সাইয়েমা হাসান। যার নামের সাথে যুক্ত আছে সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তিনিই সেই লজ্জা যিনি দেখিয়ে দিলেন মানবতা কাকে বলে। দায়িত্ব আর মানবতা কি ?দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর কিভাবে এর অপব্যবহার করতে হয়? বিশ্বের দরবারে এমন মানবতার নাম শুধুই লজ্জা…লজ্জা আর ঘৃণা।

যে মানবতার গুণের প্রশংসায় মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছেন না তিনি,এ লজ্জার ছড়াছড়ি সোশ্যাল মিডিয়া ফেইসবুক,বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সহ অনেক পত্রিকার শিরোনাম এখন তিনি। এমন সমালোচনার ঝড় এবং বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম হওয়াই কি উনার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো ? দয়া করে যে সাংবাদিক ভাই-বোনেরা উনার নিকটে আছেন উনার একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে উনার উদ্দেশ্যটা জেনে নেওয়ার অনুরোধ থাকলো।

যিনি নিজের এমন অসৎ উদ্দেশ্য সফল করতে করোনা ভাইরাস মুক্ত থাকার সতর্কতামূলক অভিযানের নামে বাবার বয়সী,খেটে-খাওয়া, সহজ-সরল মানুষ গুলোকে কান ধরিয়ে দাঁড় করে রাখা ছাড়া কি আর কোনো পথ খুঁজে পাননি তিনি ? যদিও বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এমন অনেক লজ্জাদের বসতি আছে ওদেরক ও এভাবে গণমাধ্যমে এনে চিহ্নিত করে লজ্জাদের কাতারে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করানো দরকার। নিজেকেই যেহেতু লজ্জা নামে আবিষ্কার করেছে এরা তাতে করে তারা নিজে লজ্জিত না হলেও পৃথিবীর কাছে অন্তত এদের মুখ উন্মোচন থাকবে।

অবশেষে আপনাদেরকেই বলছি-
মিস সাইয়েমা হাসান এবং সমাজে আরো যারা আছেন এমন অসৎ উদ্দেশ্য মনে পোষণ করে আছেন আপনাদের প্রত্যেকের প্রতি অনুরোধ করছি-নিজেকে এমন অসৎ এবং অভিশপ্ত উপায়ে প্রচার না করে ভালো মাধ্যমে অসহায় মানুষদের পাশে থাকুন। পৃথিবীর কাছে না হোক স্বয়ং বিধাতাই আপনাকে পুরস্কৃত করবেন।

এতটুকু মানবিক হন,অসহায় মানুষগুলোকে অত্যাচার অবিচার করে নিজেকে জাহির করার অসৎ উদ্দেশ্য থেকে বিরত থাকুন। বাবার বয়সী মানুষগুলো আপনাকে ক্ষমা করে দিলেও কোটি কোটি মানুষের কাছে আপনি এক ঘৃণা আর লজ্জার পাত্রী হয়েই থাকবেন, আপনার শিক্ষা থেকে এটুকুই আপনার অর্জন। মনে রাখবেন, এ ভূমি আপনার বাপের না – জনগণের, এই বৃদ্ধদের।

 

আপনার মতামত লিখুন :