ক্ষুধা মেটাতে পশুর রক্ত খাচ্ছে ভেনিজুয়েলার মানুষ!

প্রকাশিত : ১৫ মে ২০২০

মহামারী করোনায় সারা বিশ্বে চলছে লকডাউন। করোনা সংকটে চাকরি হারিয়েছে বহু মানুষ। করোনা ভাইরাসের কারণে ভেনেজুয়েলায়ও চলছে লকডাউন। সরকারের ত্রাণ খুব ধীরে মানুষের কাছে পৌঁছায় তাই বাধ্য হয়ে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সান ক্রিস্টোবালের কসাইখানায় লাইন ধরে দাঁড়িয়েছে চরম দরিদ্র মানুষ। আর তা হচ্ছে গবাদি পশুর রক্ত। যাতে তারা শুধুমাত্র বিনামূল্যে প্রোটিন সংগ্রহ করতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ বছর বয়সী মেকানিক আলেয়ার রোমেরো সপ্তাহে দুই বার কসাইখানায় যান। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজে চাকরি করতেন। সম্প্রতি চাকরিটি হারিয়েছেন।

কফির একটি কাপে করে কসাইখানা থেকে দেওয়া রক্ত হাতে আলেয়ার রোমেরো বলেন, ‘যে খাবার পাওয়া যাচ্ছে তাই আমি সংগ্রহ করে রাখছি। কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়া এক নির্মাণ শ্রমিক বলেন, ‘আমরা পরিবারের সবাই ক্ষুধার্ত। আমার চার ভাই ও ১০ বছরের এক ছেলে আছে। আমরা সবাই রক্তের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছি। গরুর রক্ত ভেনেজুয়েলার ঐতিহ্যবাহী ‘পিচন’ সুপের একটি উপাদান। কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট সংকটে প্রতিবেশী কলম্বিয়াতেও আরো মানুষ এটির প্রতি ঝুঁকছেন।

এদিকে ভেনেজুয়েলানরা নিজেদের মাংসাশী জাতি হিসেবে গর্ব করেন। কিন্তু বর্তমানে বাধ্য হয়ে মাংসের বদলে রক্ত খেতে হচ্ছে। যদিও সেখানে এক কেজি গরুর মাংসের দাম ন্যূনতম মজুরির দ্বিগুণ। সান ক্রিস্টোবাল কসাইখানাতে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন লোক গবাদিপশুর রক্ত নিতে আসেন। অথচ মহামারির আগে এসব রক্ত ফেলে দেওয়া হতো।

 

আপনার মতামত লিখুন :