কলাপাড়ার বিধবা আকলিমার ঘরে একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়েপানি

প্রকাশিত : ১৮ মে ২০২০

এম এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়া।। কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বিধবা আকলিমার ঘরে একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। শ্রমজীবী নারী আকলিমা বেগমের জরাজীর্ন কুটির খানি চোখে পরতেই মনেপরে, পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের আসমানি কবিতার দুই লাইন। “বাড়িটি তার পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটু খানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পরে পানি! কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত্যু আলমগীরের স্ত্রী আকলিমা বেগম। গত সিজারের সময় স্বামীকে হারিয়ে জীবিকার তাগিদে যেন সংগ্রামী যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। কখোনো নদীতে খুচুইন জাল টেনে, কখোনো নদীর তীরে ছোট ছোট খাদা কুয়া সেচকরে মাছধরে।

সেই মাছ ডালায় ভাগা করে বিক্রি করেতে নেমে পরেন পাড়াগাঁয়ে। আবার কখোনো তাকে দেখাযায় ইট ভাটার কাজে। অভাবের ঘানী যেন পোড় খাইয়ে দিয়েছে আকলিমার জীবনকে। শত কষ্টের মাঝেই আকলিমা দেখেন একটি ঘর করার স্বপ্ন। কিন্তু অভাব তার সে স্বপ্ন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আকলিমার অনুরোধে গিয়েছিলাম তার বাড়ি।আকলিমা তখন মাছধরতে রওনা। মর্মাহত মনে আকলিমা বলেন “ভাই তুমি মোগো গ্রামের সাংবাদিক। মোর দুঃখের কথাটি একটু যদি লিখতি। তা হলে মোরে কেউ একটা ঘরের ব্যবস্থা করতে।সরকারি কত ঘর মানুষে পায় বিশ হাজার ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ দেয়। মুই এত টাকা যোগাইবার সাধ্যনাই। মোর কষ্ট দেইখা মানুষের দয়া হইতেও পারে। ভাই দেশে দয়ার মানু আছে।

তারা হয়তো যানেনা মোরা যে কষ্টে আছি। আকলিমার ব্যথিত মনের কথা গুলো আমার কাছে জ্বলন্ত সত্য। গ্রামে প্রভাবশালীদের বাড়িতে ত্রানের ঘর গুলো তার জ্বলন্ত প্রমান। কিছু প্রভাবশালীরা তাতে বর্ষার লাকড়ি ঘরের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছে।অথচ এ সকল আকলিমার আজ অর্থ অভাবে প্রাপ্য হিসেবে বঞ্চিত। আকলিমার সংসারে দুই মেয়ে, দুই ছেলে রয়েছে, তার মধ্যে দুই মেয়ে বিয়ে হয়ে অন্যের সংসারে এবং এক ছেলে বিয়ে করে বউর সাথে অন্য সংসার এবং ছোট্ট ছেলে রিপন (১৮) কে নিয়ে তার ভাই আলউদ্দিনের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। আকলিমা আরও জানান, চলমান করোনায় সরকারের এত ত্রাণ যাচ্ছে অথচ আমার ভাগ্যে কোন ত্রাণ জোরছে না। মেম্বারের কাছে গিয়ে কয়েকবার কেঁদে এসেছি।

আপনার মতামত লিখুন :