সংবাদ সম্মেলনে আগামীকাল ২০ মে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একই দাবিতে লাল পতাকাসহ মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন

প্রকাশিত : ১৯ মে ২০২০

১৯ মে সকালে স্বাধীনতা হল রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবন (৩য় তলা) সেগুনবাগিচায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সি,এন,জি অটোরিক্সা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সংবদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাস মাহামারীর কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী পরিবহন শ্রমিক সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের জন্য নগদ অর্থ প্রণোদনা, ত্রাণ, রেশন কার্ড ঈদ-উল ফিতরের পূর্বেই প্রাদন ও সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব সাখাওয়াত হোসেন দুলাল। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐক্য পরিষদের কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম। উপস্থিত ছিলেন মামুন-অর-রশিদ পিন্টু, সোহরাব খান, শেখ হানিফ, নূর মোর্শেদ, মনির হোসেন, শহীদুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, শাহজাহান জাহাঙ্গীর, রাজু, নজরুল ইসলাম, শেখ মাসুদ গিয়াস উদ্দিন, দ্বীন ইসলাম, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন ২৬-০৩-২০২০ইং তারিখ হইতে গণপরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকাসহ দেশের বেশকিছু অঞ্চল লক ডাউনে চলে যায়। দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে সংসার পরিচালনাকারীরা সম্পূর্ণ বেকার হয়ে পড়ে। যেহেতু আমরা নি¤œ আয়ের মানুষ, গাড়ি চালিয়ে সংসার পরিচালনার পর সঞ্চয় বলতে কিছুই থাকার কথা নয়। তবুও যার যতটুকু ছিল তা নিয়ে এতদিন কোনরকম অর্ধহারে, অনাহারে দিন অতিবাহিত করেছি। আমরা সিএনজি অটোরিক্সা চালক ও শ্রমিকগণ বাসা ভাড়া সংকটে আছি। একদিকে পেটের ক্ষুধা অন্যদিকে বাসা ভাড়ার জন্য বাড়িওয়ালারা চাপ প্রয়োগ করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই অসহায় শ্রমিকদের সাহায্য দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন। তার সূত্র ধরে আমরা ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকগণ স্ব স্ব ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সিটি কর্পোরেশন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে তালিকা জমা দিয়েছি এবং দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে চালক ও শ্রমিকদের তালিকা জমা দিয়েছি।

অধিকাংশ কাউন্সিলর তালিকা গ্রহণ করেননি। কয়েকজন গ্রহণ করলেও তারা পরিস্কার বলে দিয়েছে আমাদের করার কিছু নাই। এই এলাকার ভোটার ছাড়া কাউকে দেওয়া হবে না। কিন্তু আমাদের চালকদের ৮০% ভোটার ঢাকার এবং ২০% ভোটার ঢাকার বাইরে, কিন্তু বসবাস ঢাকা। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের চালক ও শ্রমিকরা কোন রকম সরকারি অনুদান পাননি পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগে। তাই সরকারি ত্রান, রেশন কার্ড ও নগদ অর্থ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি করছেন। বক্তারা আরো বলেন, গত ৩০/০৪/২০২০ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব শাজাহান খান এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীর নামে উল্লেখ করে যে তথ্য সংবাদ উপস্থাপন করা হয়েছে তা সত্য নয়। আমরা মনে করি এতে ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। বাস্তব সত্য হলো করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার ২৬ শে মার্চ থেকে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করলে পরিবহন শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়া সত্বেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন দেশের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে আসছে। যা দেশের কল্যাণ বা শ্রমিক স্বার্থবিরোধী সকলের কাছেই পরিবহন শ্রমিকদের এই ঐক্যবদ্ধতা গাত্রদাহের কারণ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় নিষ্ঠার সাথে সকল শ্রেণী- পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, সেই সময়ও কিছু সুযোগসন্ধানি গোষ্ঠি লকডাউনের কারণে কর্মহীন অর্থনৈতিক সংকটগ্রস্থ শ্রমিকদের সামনে নেতৃবৃন্দের নামে বিশেষ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সংগ্রামী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব শাহজাহান খান এম.পি এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব ওসমান আলীর নামে কুৎসা রটিয়ে তাদের বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা এই ধরণের অপচেষ্টার নিন্দা জানচ্ছি।

 

আপনার মতামত লিখুন :