এবার লবণ নিয়ে কারসাজি হলে কঠোর ব্যবস্থা: বিসিক

প্রকাশিত : ১ আগস্ট ২০২০

কয়েক বছর ধরেই দেখা যায় কোরবানির সময় পশুরু চামড়া সংরক্ষণে হঠাৎ করেই ঘাটতি দেখা যায় লবণের। সরবরাহ সংকটের অভিযোগ থাকলেও বাড়তি দাম দিলে সঙ্গে সঙ্গে লবণ পাওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে ব্যবসায়ীদের। তব, এবার যেন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয় সেজন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক)। বিসিকের দাবি, দেশে বর্তমানে ১১ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় দেশব্যাপী কোরবানির পশু সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কম-বেশি ১ লাখ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ, কোরবানির সময় দরকার লবণের ১১গুন বেশি মজুদ রয়েছে দেশে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে সংস্থাটি বলছে, গত ঈদুল আজহায় লবণের চাহিদা ছিল ৮১ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন। ফলে দেশে লবণের কোনো ধরণের ঘাটতির আশঙ্কা নেই বলে দাবি বিসিকের। এমনকি লবণ উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য তিন স্তরবিশিষ্ট মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করেছে বিসিক। এজন্য, বিসিক প্রধান কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। লবণ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ে তথ্যের জন্য ০২-৯৫৭৩৫০৫ (ল্যান্ড)/ ০১৯১১-৮৩৮২০০ (সেল ফোন) নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া, এবার চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য দেশব্যাপী নিরবিচ্ছিন্ন লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে দেশের ৮টি লবণ জোনে ১৮৬টি নিবন্ধিত লবণ মিলে পুরোদমে লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৪টি, নারায়ণগঞ্জে ৩৪টি, চাঁদপুরে ২টি, চট্টগ্রামে ৫৭টি, পটিয়ায় ৩৪টি, কক্সবাজারে ৩৫টি, খুলনায় ৮টি এবং ঝালকাঠিতে ১২টি মিল চালু রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :