এবার নুরদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর ২০২০

রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ সব আসামির গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। সেখান থেকে তারা শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ধর্ষণ মামলার আসামি ডাকসুর সাবেক ভিপিসহ সব ধর্ষককে গ্রেপ্তার, ধর্ষকদের বাঁচানোর জন্য মৌলবাদী অপশক্তির নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদ, মুজিব কোটে আগুন দেয়া, প্রধানমন্ত্রীর ছবি পোড়ানো ও কটূক্তিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে বলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এমসি কলেজ এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ধর্ষণের ঘটনাসহ যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সবগুলো ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবাইকে গ্রেপ্তার করা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বোনকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে, তার আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের যতক্ষণ গ্রেপ্তার না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান গ্রহণ করবো।

এদিকে ধর্ষণের বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার টানা ২৭ ঘণ্টা অনশনের কারণে শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি চিকিৎসক টিম চিকিৎসা প্রদান করেন।

এর আগে শুক্রবার একই স্থান শাহবাগে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে মহাসমাবেশ করেন বিভিন্ন ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে আগামী ১৬ ও ১৭ অক্টোবর নোয়াখালী অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপসারণ চেয়ে নয় দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।

শাহবাগে প্রতিদিন বিকেল থেকে লাগাতার অবস্থান, ১১ অক্টোবর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ১২ অক্টোবর সাংস্কৃতিক সমাবেশ, ১৩ অক্টোবর চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ১৪ অক্টোবর নারী সমাবেশ, ১৫ অক্টোবর সাইকেল র্যালির ঘোষণা করা হয়। মহাসমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, যুব ইউনিয়ন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, নারী সংহতি, গার্মেন্টস টিইউসিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

আপনার মতামত লিখুন :