সেন্টমার্টিনে ট্রলারডুবি, নিহতদের ১৫ জনই রোহিঙ্গা

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনের কাছে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহতদের ১৫ জনই রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৬০ জনকে। মঙ্গলবার সকালে ১৫ জনের লাশ উদ্ধার ও ৬০জনকে উদ্ধার করা হয়। ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা যায়, সোমবার রাতে টেকনাফ উপকূল দিয়ে দুটি ট্রলার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে সাগরের পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

উদ্ধার করা কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, দালালদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে বের হয়ে তারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস ট্রলারডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের বঙ্গোপসাগরে একটি ট্রলার ডুবে অন্তত ১৫ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। সাগর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪০ জন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সোমবার গভীর রাতে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটে। সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার নাঈম উল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লে. কমান্ডার নাঈম উল হক বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর থেকে ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৪০ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছেন।

জীবিত উদ্ধার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে নাঈম উল হক বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি আমরা। ট্রলারডুবিতে হতাহতদের সবাই রোহিঙ্গা। টেকনাফ থেকে সমুদ্রপথে ট্রলারযোগে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। তাদের ট্রলারে ১২০ জনের মতো রোহিঙ্গা ছিলেন। এর মধ্যে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেউ কেউ সাঁতরে কূলে উঠে পালিয়ে গেছেন। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।

উদ্ধার রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা। সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে অনেকেই ডুবে যান। কেউ কেউ সাঁতরে পার হন।

আপনার মতামত লিখুন :