ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত : ৭ মার্চ ২০২০

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল ৮.৩০টায় ৩২ ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি চিত্রনায়ক শাকিল খান, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, চিত্রনায়িকা সৈয়দা শাহনুর-সহ জোটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পরে সংগঠনের গুলশানস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জোটের সভাপতি, খ্যাতিমান অভিনেত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী। বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি, কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, চিত্রনায়ক শাকিল খান, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, চিত্রনায়িকা মৌসুমী, সৈয়দা শাহনুর, রফিকুল ইসলাম বুলবুল, ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, চিত্রনায়িকা রঞ্জিতা কনা, আরিফা সুলতানা দীপা, এস.ডি রুবেল, কন্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, এম.এ মিলন, কন্ঠশিল্পী বৃষ্টি রাণী সরকার, জয়দেব রায়, নাহিদ হোসাইন, প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ৭ মার্চ ছিল স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা। বঙ্গবন্ধু সেইদিন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা যুদ্ধের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। আজ যারা ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন না, বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্বীকার করেন না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী নন। তারা এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও অস্বীকার করে। মুক্তিযুদ্ধে যারা বিরোধীতা করেছিল, মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি, একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ চাননি তারাই এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন। কারণ স্বাধীনতা সংগ্রামের ভারতের যে অবদান সেই অবদানকে অস্বীকার করলে আমাদের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা হয়।

ব্যক্তি মোদীকে নয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সোনিয়া গান্ধীসহ মুক্তিযুদ্ধে যারা বাঙালি জাতিকে সহযোগিতা করেছেন সবাইকে মুজিববর্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুজিববর্ষকে বানচাল করার জন্য ৭১’র পরাজিত শক্তিরা একের পর এক গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দাঁতভাঙা জবাব দেবার আহ্বান জানান।

আপনার মতামত লিখুন :