ই-অরেঞ্জের মালিকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০২১

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামীসহ ৫ জনের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। অপর আসামিরা হলেন-আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ।

জানা গেছে, গুলশান থানার প্রতারণা ও ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) পণ্যের নগদ টাকা নিয়ে মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একজন গ্রাহক।

গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে একজন গ্রাহক বাদী হয়ে একটি প্রতারণা মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। মামলায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের মোট ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক এই আদেশ দেন।

এ বিষয়ে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলায় অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে যেসব আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিক। মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের প্রত্যেককেই ই-অরেঞ্জের মালিক বলে দাবি করা হয়েছে। মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধি ৪২০ ও ৪০৬ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।

৪০৬ ধারায় ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অপরাধে সর্বোচ্চ ৩ বছর জেল, অর্থ জরিমানা ও উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। আর প্রতারণার ৪২০ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের কারাদণ্ড।

আপনার মতামত লিখুন :