বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত পানিবন্দি ২০ হাজার পরিবার

প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর ২০২১

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টা ৩০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।ব্যারেজের ভাটিতে থাকা হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোয় পানিবন্দি রয়েছে অন্তত ১৫ হাজার পরিবার।

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি বৃদ্ধির ফলে ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাস সড়কটির ৩শ মিটার অংশ ভেঙে যাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার সাথে ব্যারেজ দিয়ে নীলফামারী যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।

পানি বৃদ্ধির ফলে ব্যারেজের ভাটিতে থাকা জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলা সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সির্ন্দুনা, ডাউয়াবাড়ি, পাটিকাপাড়া, সিঙ্গিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডার, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোছা ও সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোর মানুষজন রয়েছে চরম দুর্ভোগে। গতকাল থেকে তারা বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটে ভুগছে।

এদিকে বুধবার (২০ অক্টোবর) রাতে পানির তোড়ে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতুর কাকিনা-রংপুর সড়কের মিলনবাজার এলাকায় কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল আমিন বলেন, পানির চাপে তিস্তা ফ্লাড বাইপাস ভেঙে গেছে। এতে তিস্তার তীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বানভাসি মানুষজনের জন্য ৭০ টন চাল, ৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ত্রাণ পর্যাপ্ত পরিমাণ আছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :