সাভারের আশুলিয়ায় একই দিনে শিশুসহ ৩ জন ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল ২০২২

সাভারের আশুলিয়ায় একই দিনে ৫ বছরের শিশু ও দুই কিশোরীসহ মোট তিনজন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে আশুলিয়া থানায় এসব ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। ঘটনার পর থেকে তিনজন অভিযুক্তই পলাতক রয়েছেন। এর আগে গত শনিবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়ায় একটি ফ্ল্যাটে দুই কিশোরী ও জামগড়া এলাকায় প্রতিবেশী কিশোরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয় ৫ বছরের এক শিশু।

অভিযুক্তরা হলেন, আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট ফকিরবাড়ী মসজিদ সংলগ্ন এলাকার ‘রুবেল হেয়ার ক্যাপ’ হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার মোক্তার হোসেন ও শ্রমিক আরিফ। তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া শিশু ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হলো, নাজমুল হোসেন (১৫)। সে ওই এলাকার পোশাক শ্রমিক দুলাল হোসেনের ছেলে। নাজমুলের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি থানায়।

কিশোরী ধর্ষণের এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘রুবেল হেয়ার ক্যাপ’ হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীরা কাজ করতেন। এদের মধ্যে কারখানার শ্রমিক আরিফের সঙ্গে এক ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে কারখানার স্যাম্পল আনার কথা বলে আরিফ তাঁর প্রেমিকা ও সুপারভাইজার মোক্তার হোসেন অপর এক শ্রমিককে কারখানা থেকে আশুলিয়ার একটি এলাকায় নিয়ে যান। সেখান থেকে একটি ৫ তলা ভবনের ৪ তলার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। এরপর গত শনিবার (৯ এপ্রিল) থেকে সোমবার (১১ এপ্রিল) পর্যন্ত দুজনই ভুক্তভোগী দুই কিশোরীকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার তাঁদের উদ্ধার করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে একই দিনে শনিবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় প্রতিবেশী কিশোরের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে পোশাক দম্পতির ৫ বছরের শিশু কন্যা। এরপর থেকে অভিযুক্ত কিশোর পলাতক রয়েছে। আজ এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজন পোশাক শ্রমিক। আমার ভাড়া বাসায় থাকি। আমার ভাতিজা শিশু মেয়ের খেয়াল রাখে। ভাতিজা বাইরে খেলছিল। এই সুযোগে প্রতিবেশী কিশোর নাজমুল ঘরে ঢুকে আমার শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে। অন্য প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে অফিস থেকে দ্রুত বাসায় আসি। পরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। অভিযুক্ত ও তার পরিবার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পরে আজ বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আউয়াল হোসেন বলেন, কিশোরীদের ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আপনার মতামত লিখুন :