বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ও প্রাথমিক শিক্ষা একই সুতোয় গাঁথা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০২২
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ও প্রাথমিক শিক্ষা একই সুতোয় গাঁথা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ও প্রাথমিক শিক্ষা একই সুতোয় গাঁথা। তিনি দেশ স্বাধীন হবার পরপরই মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে ভাবনা শুরু করেন। সবার কাছে শিক্ষাকে সহজভাবে পৌঁছে দিতেই প্রাথমিক শিক্ষাকে এক ঘোষণায় সরকারীকরণ করেন। সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বিএনএফই (বাংলাদেশ নন-ফরমাল এডুকেশন) প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেসনোটে বলা হয়, উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বাংলা ভাষাই হবে শিক্ষার মাধ্যম। ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ অন্য একটি প্রেসনোটের মাধ্যমে জানানো হয়, প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পাবে এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পাবে বাজার মূল্যের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম দামে। বঙ্গবন্ধুর সরকারের উদ্যোগে ৩৬ হাজার ১৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয় এবং বাড়ানো হয় শিক্ষকদের বেতন। এছাড়া নারীর উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ১৯৭৩ সালের জানুয়ারি মাসে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নারীদের অবৈতনিক শিক্ষা চালু করার যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে চায়। শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত করা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ বৃদ্ধি ছাড়া কোনো দেশ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। তাই বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন বাস্তবায়নের মাধ্যমেই আলোকিত মানুষ তৈরি ও উন্নত দেশে উন্নীত ও ধাবিত হওয়া সম্ভব। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, বিএনএফই মহাপরিচালক আতাউর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন :