থাইল্যান্ডে সায়ানাইড প্রয়োগে ১৩ জনকে হত্যার অভিযোগে সিরিয়াল কিলার আটক

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল ২০২৩

একজন, দু’জন নয়, হত্যা করেছেন অন্তত ১৩ জনকে। প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে সায়ানাইড প্রয়োগে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে থাইল্যান্ডে। সম্প্রতি, সিরিয়াল কিলিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এক থাই নারীকে। নিহত সবাই অভিযুক্তের বন্ধু বা পরিচিত। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট’র।

শ্রীপর্ণ খানওয়াং নামের এক থাই নারীর মৃত্যু ঘিরে শুরু হয় রহস্য। পরিবারের সন্দেহ হলে তদন্তে নামে পুলিশ। ময়নাতদন্তে মৃতের শরীরে মেলে সায়ানাইড। নদীর পাড়ে, শ্রীপর্ণের নিথর দেহ পড়ে থাকলেও ছিল না মোবাইল, ব্যাগ আর নগদ অর্থের কোনো কিছুই। তদন্ত কর্মকর্তাদের সন্দেহের তীর যায় সেই বন্ধুর দিকে। পরে তার গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সায়ানাইড থাকার প্রমাণও পায় পুলিশ।

রংসিউথাপর্ন নামের ৩৬ বছর বয়সী ওই নারীকে আটকের পর একে একে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আরও ১২ জনের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে হাজির হয় তাদের স্বজনরা, যাদের সবাই হয় সারারাতের বন্ধু নয়তো পরিচিত। এমনকি এই তালিকায় তার সাবেক প্রেমিকও রয়েছে। সবারই মৃত্যু হয়েছে ২০২০ সালের পর।

পুলিশ বলছে, প্রতিটি মৃত্যুর ধরন এক এবং হত্যার সাথে জড়িত সারারাত। এই নারীই যে এসব করেছেন, তার যথেষ্ট প্রমাণও পেয়েছেন তারা। সারারাতের সাবেক স্বামী একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে সায়ানাইডের শিশি উদ্ধার করা হয়। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।

থাইল্যান্ডের অপরাধ দমন বিভাগের ডেপুটি কমান্ডার কর্ণেল এনেক থাওসুপার্প বলেন, এই অপরাধের সাথে তার জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। স্থানীয় তদন্তকারীদের ভবিষ্যতে অবশ্যই যেকোনো অস্বাভাবিক মৃত্যর ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির সম্পূর্ণ ময়নাতদন্ত করতে হবে। যদিও আমি বুঝি, প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে দক্ষ চিকিৎসাকের অভাব রয়েছে।

পুলিশ বলছে, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত সারারাত মানসিক সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে, তিনি সিরিয়াল কিলারে পরিণত হয়েছেন অর্থের জন্য।

আপনার মতামত লিখুন :