করোনাভাইরাস: পোশাক কারখানাও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব পোশাক কারখানাও আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের বড় দুই সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন (বিকেএমইএ) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার বিজিএমইএ সভাপতি  রুবানা হক ও বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এক যৌথ এ বিষয়টি জানান।

যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র সদস্য প্রতিষ্ঠান সমূহ আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, তবে এ সময়ের মধ্যে বেতন দেওয়ার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা রাখার প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে স্ব স্ব অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ/বিকেএমইএ) এবং শিল্প পুলিশকে জানাতে হবে।

এর আগে চার শর্তে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। আজ শুক্রবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ছুটির আদেশ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতাবলে দেশব্যাপী কনোনাভাইরাস রোগ মোকাবিলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল এবং ১৯ হতে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। এর সঙ্গে আগামী ১৭ ও ১৮ এপ্রিল এবং ২৪ ও ২৫ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি সংযুক্ত থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বর্ণিত ছুটি অন্য সাধারণ ছুটির মতো বিবেচিত হবে না। ছুটিকালীন নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনাবলি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে :

১. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে।

২. অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো।

৩. সন্ধ্যা ৬টার পর কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৪. এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হলো।

৫. বিভাগ/জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন :