করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বে মৃত্যুর হার কমেছে : সুস্থতার হার বাড়ছে

প্রকাশিত : ৪ মে ২০২০

বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে। একদিনে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার জন। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজারের বেশি। এ নিয়ে বিশ্বের ২১২ দেশ ও অঞ্চলে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে সাড়ে ৩৫ লাখ। আর মৃত্যু ২ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি। সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ১১ লাখ। করোনা পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখাচ্ছে ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্স। ইতালিতে দুই মাস পর দৈনিক প্রাণহানি নেমেছে ২শো’র নিচে। রোববার দেশটিতে প্রাণ গেছে ১৭৫ জনের। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সোমবার থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছে ইতালি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সিনেমাহল ও বেশিভাগ দোকানপাট বন্ধই থাকছে। জুনে চালু হবে বার ও রেস্তোরাঁ। নিকট আত্মীয়দের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হলেও এখনই বন্ধুদের সাথে আড্ডার অনুমতি নেই। সেইসাথে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক দূরত্ব।সংক্রমণ ও মৃতের হার কমায় ১১ মে থেকে লকডাউন তুলে নিতে যাচ্ছে ফ্রান্স। এরপর কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই ১শ কিলোমিটারের মধ্যে চলাচল করতে পারবেন বাসিন্দারা। তবে বহাল থাকছে কিছু বিধিনিষেধ।

এদিকে, ফ্রান্সে প্রবেশকারীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন নিয়ে ম্যাখো প্রশাসনে দেখা দিয়েছে ভিন্নমত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক বললেও রোববার প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয় শেনজেন অঞ্চল থেকে আসাদের ওপর এই নিয়ম বলবৎ হবে না। লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিলেও মঙ্গলবার পার্লামেন্টে উঠছে জরুরি অবস্থা বাড়ানোর প্রস্তাব।

একদিনে স্পেনে মারা গেছেন স্পেনে ১৬৪ জন। যা মার্চের মাঝামাঝি সময়ের পর সর্বনিম্ন। দেশটিতে মোট প্রাণহানি ২৫ হাজারের বেশি। মোট আক্রান্তের ষাট ভাগেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন। সংক্রমণ কমায় অর্থনীতি স্বাভাবিক রাখতে চার ধাপে লক ডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৪ মে থেকে শুরু হয়ে জুনের শেষ সপ্তাহে পুরোপুরি শেষ হবে লকডাউনের মেয়াদ।

তবে, রোববারও করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। মিসৌরির একটি মাংস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ৩ শতাধিক কর্মীর শরীরে মিলেছে ভাইরাস। মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে প্রাণ গেছে ৩১৫ জনের। দেশটিতে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ২৮ হাজার।

এদিকে, একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড করেছে রাশিয়া। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৬৩৩ জনের। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। তবে, সে তুলনায় রাশিয়াতে মৃত্যুর সংখ্যা কম। একদিনে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি শনাক্ত নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে ব্রাজিলে। প্রাণ গেছে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।

করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বুধবার থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে জর্ডান। তবে বন্ধই থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, বিনোদনকেন্দ্র। সোমবার থেকে কয়েকটি শহরে মসজিদ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। করোনা ইস্যুতে প্রায় একশ তালেবান বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে আফগানিস্তান।

আপনার মতামত লিখুন :