করোনা পরিস্থিতিতে ডামুড্যাবাসীকে নিরলসভাবে সেবা দিচ্ছেন এসিল্যান্ড-ডাক্তার দম্পতি

প্রকাশিত : ১০ মে ২০২০

মোঃ ওমর ফারুক, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: চারিদিকে এখন করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ! বেড়েই চলছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।স্মরণকালের ভয়াবহতম প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের কারনে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় কাটছে সবার জীবন।ভয়াবহ এমন পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডামুড্যা উপজেলার জনগনদের নিরাপদে রাখতে সর্বদা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন ঠিক তেমনি তার অন্তঃসত্ত্বা সহধর্মীনি ডাক্তার ফাতিমা মাহজাবীন দিন-রাত শত শত অসহায় কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তাই ‘দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে ডামুড্যাবাসীর ভরসাস্থল হয়ে উঠেছেন ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুল্লাহ আল মামুন ও তার সহধর্মীনি ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার ফাতিমা মাহজাবীন।

জানা যায়, নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা না ভেবে ঘরে অন্তঃসত্ত্বা সহধর্মীনিকে রেখেই দেশপ্রেমিক বীর যোদ্ধার মত প্রতিনিয়ত প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে জনগনদের নিরাপত্তার জন্য রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ডামুড্যা উপজেলার জনবান্ধব সাহসী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আবদুল্লাহ আল মামুন।তিনি করোনা ভাইরাস সংক্রমন ও প্রতিরোধে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের হাটবাজার ও গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাইকিং করে জনসচেতনতা তৈরী, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে ও জনগনকে ঘরে রাখতে চালিয়ে যাচ্ছেন নানামূখি কার্যক্রম।সরকারি নির্দেশনায় দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধিরোধে নিয়মিত হাটবাজার মনিটরিং,অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরিমানা সহ অন্যান্য শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করছেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় দেশে করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই ও পবিত্র মাহে রমজানে নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডামুড্যা উপজেলা সহ ইউনিয়নের বাজারগুলোতে টহল সহ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ,সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং সরকারি নির্দেশনা নিশ্চিতকরণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছেন।সরকারি আদেশ/নির্দেশনা অমান্যকরনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৯৩ টি মামলায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।তিনি দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে ডামুড্যা উপজেলাবাসীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করে অসহায় মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো সহ
জনসেবায় নিয়োজিত একজন দেশপ্রেমিক হয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলাবাসী যেভাবে নিরাপদে থাকবে তা আমরা করছি।এই করোনা যুদ্ধে নিজের শেষটুকু দিয়ে যেতে চাই। জনসাধারণকে সচেতন করতে পারলেই এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হতে পারবো। ঘরে যেতে ভয় হয়। স্ত্রী অসুস্থ তার দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। আমার স্ত্রী ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ডাক্তার।এই সংকটকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অক্লান্তভাবে সেও নিয়মিত চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন তার সহধর্মীনি ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মানবতার সেবক ডাক্তার ফাতিমা মাহজাবীন।ডাক্তার তাকে পরামর্শ দিয়েছেন যথাযথ বিশ্রাম নেওয়ার জন্য।কিন্তু তিনি নিজের কথা চিন্তা না করে এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জনগণের সেবা করে চলেছেন।করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ আতঙ্কে মধ্যে তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রাম ও উপজেলার শত শত অসহায় হতদরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করছেন।ডাক্তার ফাতিমা মাহজাবীন ফেসবুক ও মোবাইল ফোন ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত জ্বর সর্দি কাশি হৃদরোগসহ নানা ধরনের রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।তার কাছ থেকে টেলিমেডিসিন সেবা পাচ্ছেন শত শত মানুষ।তিনি সর্বদা অসহায় কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের একমাত্র কাণ্ডারি হিসেবে কাজ করছেন।

ডাক্তার ফাতিমা মাহজাবীন বলেন, আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কর্মরত ডক্টরদের মোবাইল ফোন নাম্বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে দিয়েছি। রোগীরা হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে ভিডিও কল করে সেবা নেন।আমি সবসময় রোগীদের পাশে ছিলাম, এখনো আছি।আর্তমানবতার সেবায় নিজের সবটুকু দিয়ে সেবা করতে চাই।এ অবস্থায় আমি ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অসহায় কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষদের দিন রাত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।যতদিন সুস্থ থাকবো যতটা সম্ভব সর্বোচ্চভাবে জনগনদের সেবা দিয়ে যাবো।দেশের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের সবচেয়ে বড় কর্তব্য শুধু চিকিৎসক নন, এখন সবার উচিত নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো।ডাক্তার ও হাসপাতাল এই সময় দয়া করে করোনার ভয়ে ভীতহয়ে মানুষকে সেবা দিবেন না, তারা ভবিষ্যতে জাতির কি কাজে আসবেন,হাসপাতাল এবং ডাক্তার থাকতে রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে সেটা কিছুতেই মানা যায় না।সকলের মনে ধারন করা উচিত আত্মসুখে নয়-অসুস্থকে সুস্থ করেই যাদের মুখে হাসি ফুটে সেই প্রকৃত মানুষ

আপনার মতামত লিখুন :