আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে যেখানে খেলেছিল ৮টি দল, আগামী আসর থেকে মূল পর্বে খেলবে মোট ১০টি দল।শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, ২০২৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর হবে।
সর্বশেষ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলেছিল মূল পর্বে। দলসংখ্যা বাড়ানোর ফলে আগামী আসরে বাংলাদেশ নারী দলের অংশগ্রহণ আরও নিশ্চিত ও সহজতর হয়ে গেল বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। আইসিসির এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সর্বশেষ আসরের বিপুল জনপ্রিয়তা ও সফল আয়োজন। ভারতে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপে রেকর্ডসংখ্যক দর্শক মাঠে বসে ম্যাচ উপভোগ করেন, যা নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
আইসিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামে দর্শক উপস্থিতি ছিল প্রায় তিন লাখ, যা এর আগে কোনো নারী ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমে দর্শকসংখ্যাতেও গড়ে ওঠে নতুন রেকর্ড। নারী ক্রিকেটের এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার ফলেই আইসিসি আগামী আসরে দল বাড়ানোর পাশাপাশি আরও বেশি দেশকে বিশ্বমঞ্চে সুযোগ দিতে চায়।
উল্লেখ্য, নারী ক্রিকেটকে আরও বাণিজ্যিকভাবে আকর্ষণীয় করতে আইসিসি আগের আসরের আগেই প্রাইজমানি বাড়িয়েছে প্রায় ৩০০ শতাংশ। সর্বশেষ আসরে মোট প্রাইজমানি ছিল ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা ইতিহাসে সর্বাধিক। আইসিসির এই উদ্যোগ নারী ক্রিকেটে প্রতিযোগিতা, সুযোগ ও জনপ্রিয়তা-তিন দিকেই নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। আর সেই পথেই বাংলাদেশ নারী দলের বিশ্বকাপ যাত্রা হতে পারে আরও ধারাবাহিক ও সফল।

আপনার মতামত লিখুন :