ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ১০গ্রাম প্লাবিত


প্রকাশিত : ২১ মে ২০২০

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে গলাচিপায় ঘর-বাড়ি, বিদ্যালয়, গাছপালা, দোকানপাট, বেড়ি বাঁধ ও রবিশষ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে গাছ চাঁপায় পানপট্টি ইউনিয়নের খরিদা গ্রামের ৫বছরের শিশু রাশাদ নিহত হয়েছে। আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ ও কাচা রাস্তা দিয়ে পানি প্রবেশ করে বৃহস্পতিবার অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৪৬৮টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ২ হাজার ৬২৪টি। মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় আনুমানিক এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রতনদী তালতলী ইউনিয়নের মেমসাহেব নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনসেট ভবনটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া গলাচিপার বদনাতলী লঞ্চঘাটের ১২টি দোকান সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আম্ফানের প্রভাবে পানির চাপে গোলখালী, ডাকুয়া ইউনিয়নের বেড়ি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার জোয়ারের পানি ঢুকে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকের বাকি আশাটুকুও শেষ হয়ে গেছে।

গলাচিপার গোলখালী, রতনদীতালতলী, পানপট্টি ও ডাকুয়া ইউনিয়নের বেড়ি বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বেড়ি বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি জানার জন্য পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, ঝড়ে ক্ষয় ক্ষতির হেসেব দিতে একটু সময় হবে। গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসেবে নিরূপন করা সম্ভব হয়নি। তবে শুক্রবারের মধ্যে সব হিসেব প্রকাশ করা সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে যে হিসেবে দেওয়া হয়েছে এর চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :

এই বিভাগের সর্বশেষ