নবম শ্রেণির ছাত্রী হীরামনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০২০

মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ: লক্ষ্মীপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রী হীরামনি কে ধর্ষণের পর হত্যা করার প্রতিবাদে ধর্ষণ বিরোধী মানববন্ধন এর আয়োজন করা হয় স্টপ রেইপ ক্যাম্পেইন সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৪ জুন ২০২০, বিকাল ৩.৩০ মিনিট, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে। হীরামনি কে ধর্ষণের পর হত্যার মতো নারকীয় কর্মকাণ্ড সহ অতীতের একই ধরনের জঘন্য অপরাধের সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে উক্ত বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে “স্টপ_রেইপ” ক্যাম্পেইন এর যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্যঃ শাহরিয়ার তানভীর, আজিজুল সৌরভ, উম্মে হাবিবা আলভী, শাকিল আদনান, ফজলে রাব্বি, তৌহিদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনি, লামিয়া চৌধুরি, এম এ মামুন, মোঃ আশরাফুল নিরব, সাদরিনা নূর, নিখিল স্বাধ, সাগর, বাহারুল আলম মাসুম সহ সাধারন মানুষ ও উপস্থিত ছিলো।

ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত এই প্রতিবাদী কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়াও উক্ত মানববন্ধন এর সভাপতিত্বে ছিলো “স্টপ_রেইপ” ক্যাম্পেইন এই আহবায়ক উম্মে সালমা জান্নাত। সাবধানে চলাফেরা করিস বোন!  এই দেশটা জানোয়ারে ভরে গেছে – ব্লেড দিয়ে যখন আমার যৌনিপথ বড় করা হচ্ছিল, তখন আমি আল্লাহ কে ডাকছিলাম (৪ বছরের ধর্ষিতা মেয়েটি)। আমার স্বামী ছেলেকে দরজার সাথে বেধেঁ ওদের সামনে আমায় ধর্ষন করলো (ধর্ষিত নারী রহিমা)। ভালোবাসার মানুষটাকে বিশ্বাস করে তার সাথে ঘুরতে গেছিলাম, সে তার বন্ধুদের নিয়ে গনধর্ষন করলো আমায় (কলেজের ধর্ষিতা মেয়ে তানিয়া)। খুব গরিব ছিলাম তাই মাইনষের বাড়ি কাজ করতাম, একদিন মালিকের বউ বাড়িতে ছিলো না, আমি ঘড় মুছতাছিলাম তখন মালিক আইসা দরজা বন্ধ কইরা আমারে ইচ্ছা মতো ধর্ষন করলো (ধর্ষিতা কাজের বুয়া আছমা বেগম)।

নিজের জন্মদাতা পিতা নেশাগ্রস্ত অবস্হায় বাসায় এসে ধর্ষন করলো আমায়। (অভাগী ধর্ষিতা মেয়ে মিতু, ধানমন্ডি)। কলেজে যাওয়ার সময় বখাটে ছেলেরা ডিস্টার্ব করে তাই থানায় ডাইরি করতে গেছিলাম আমি আর আমার ছোট ভাই,,, ভাইরে দুকানে যাইতে বইললা, আমাকে পিস্তলের ভয় দেখাইয়া ধর্ষন করলে আমায় কামাল গাও মডেল থানার ওছি (ধর্ষিতা মেয়ে টুম্পা)। আমায় বিয়ে করার লোভ দেখিয়ে বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষন করলো তারপর আমার গলা কেটে বস্তায় করে নদিতে ফেলে দিলো (ধর্ষিতো মেয়ে মেঘলা)। সারাদিন কাজ করে বাসায় ফিরার পথে ছোট ছেলের জন্য বিস্কুট কিনে বাসে উঠছিলাম, যে যার মতো নেমে গেছে, বাস যখন খালি তখন মাঝ রাস্তায় বাস থামিয়ে সেই বাসেই আমায় ধর্ষন করলো বাস চালক (গার্রমেন্টসের ধর্ষিতা আয়শা)। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে আর আমার মাকে এক বিছানায় ধর্ষন করলো এলাকার বখাটে। (ধর্ষিতা মেয়ে নুসরাত )।

বাবা মার স্বপ্ন ছিলো আমি ডাক্তার হবো, তাই খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করতাম কোচিং করতে স্যারের বাসায় গেছিলাম স্যার পাশের রুমে ডেকে নিয়ে আমার হাত পা বেঁধে ধর্ষন করলো (ধর্ষিতা ছাত্রী)। সবাই বলতো মেয়েদের পোশাক নাকি ধর্ষনের মূল কারণ, তাই ইসলামী বোরকা, হাতে পায়ে মুজা পড়তাম, বিশ্বাস করেন আমার চোখগুলা ছাড়া আমার শরীরের কিছুই দেখা যেতো না, তবুও খালি রাস্তায় একা পেয়ে কিছু জানোয়ার আমাকে গনধর্ষন করলো (ধর্ষিতা মেয়ে খাদিজা নুর)। করোনা ভাইরাসে ঘরে খাদ্য নেই বলে ত্রাণ আনতে গিয়ে ৪ বছরের শিশু ধর্ষন। ধর্ষণ ও হত্যার বিচার পাওয়ার শেষ স্থান যদি রাজপথ হয়, তবে রাজপথেই নামবো বারবার। আমরা ধর্ষকমুক্ত বাংলাদেশ চাই। দেশের এমন এক পরিস্থিতিতেও আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে ন্যায় বিচারের জন্য। ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চলবেই। মনিরুল ইসলাম মনি, করোনায় স্বেচ্ছাসেবী, জেলা সমন্বয়ক, নারায়ণগঞ্জ।

আপনার মতামত লিখুন :