সাবেক প্রতিমন্ত্রীর মৃত্যুতে শূন্য আসনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে যা বললেন শাবানা

প্রকাশিত : ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

গতকাল দুপুর ২টার দিকে শাবানার শ্বশুরবাড়ি কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামে এক সভার আয়োজন করা হয়। শাবানা ও ওয়াহিদ সাদিক এতে অংশ নেন। সভায় শাবানা তার স্বামীর প্রার্থিতার জন্য উপস্থিত লোকজনের মতামত প্রত্যাশা করেন। উপস্থিত ব্যক্তিরা হাত তুলে শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদিককে প্রার্থী হওয়ার পক্ষে সমর্থন দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি আব্দুল হালিম (১৯৮৬ সাল)। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শহিদ উদ্দিন মাস্টারও সেখানে বক্তব্য রাখেন।

সভায় শাবানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিভিন্ন সময় প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে বলেছেন। কিন্তু আমি সন্তানদের সময় দিতে চাই। এছাড়া কেশবপুর আমার শ্বশুরবাড়ি। এখান থেকে প্রার্থী হলে আমার স্বামীই হবেন। আমি তার জন্য আপনাদের সমর্থন প্রার্থনা করছি।’

ওয়াহিদ সাদিক বলেন, ‘কেশবপুর আমার জন্মস্থান। ফলে জন্মস্থানের উন্নয়নে সবসময় কাজ করার তাগিদ বোধ করি। যে কারণে এ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি হতে আপনাদের সমর্থন কামনা করছি। আপনারা সমর্থন দিলে মনোনয়ন পেতে গণসংযোগ শুরু করবো।’ তখন সভায় উপস্থিত শতাধিক গ্রামবাসী হাত তুলে তার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।

ওয়াহিদ সাদিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে দলীয় নমিনেশনের বিষয়ে। তিনি আমাদের সবুজ সংকেত দিয়েছেন।’

তিনি আরও জানান, মতবিনিময় সভার আগে তিনি ও শাবানা স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আজ মঙ্গলবার বিকালে তারা বড়েঙ্গা পীর সাহেবের মাজার ও পারিবারিক কবরস্থান জিয়ারত করবেন। এরপর সন্ধ্যায় তারা খুলনায় চলে যাবেন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি আবার এলাকায় আসবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা শাবানাকে গতবারও নির্বাচন করতে বলেছিলেন। তিনি (শাবানা) চাইলে এবার প্রার্থী হতে পারেন। নমিনেশন কে পাবেন- তা একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই জানেন। তিনি যাকে নৌকা দেবেন, আমরা তার পক্ষে কাজ করবো।’

প্রসঙ্গত, যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক গত ২১ জানুয়ারি মারা যান। জাতীয় সংসদে ২৮ জানুয়ারি আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :