সোহরাওয়ার্দীর ১২৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল ৯টায় ঢাকার দোয়েল চত্বরস্থ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সমাধিতে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে পুস্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মাজার প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা ও বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তিনি মানুষের মতামতের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলেই সুধী সমাজ তাকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র উপাধিতে আখ্যায়িত করেন। তিনি একজন পরিশুদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাঙালি ছিলেন। তার ভাবনাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্নে রূপান্তর করে এই স্বপ্নকে সকল স্তরে সঞ্চারিত ও প্রসারিত করেন। উক্ত স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু আজীবন কাজ করেছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। নতুন প্রজন্মকে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আতœজীবনী ও গুণাবলি জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার, পাঠাগার সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন খান, সদস্য ডা. হাকীম হারুন-অর-রশীদ, সদস্য পলাশ চৌধুরী, মোঃ আরিফুজ্জামান, মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মুসলিম লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতনসহ একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্মকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর গুণাবলিতে উজ্জীবিত করে গড়ে তুলতে হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :