ত্রিমুখী সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫সদস্যসহ ৬ জন নিহত

প্রকাশিত : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভূমিষ্ঠ শিশুর লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি ফিরছিলেন স্বজনরা। কিন্তু শিশুটির সাথে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা বাবা-মাসহ ছয়জনকেও ফিরতে হলো লাশ হয়ে। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া রাস্তার মাথা এলাকায়। ওই সময় অ্যাম্বুলেন্সের পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কার পাশাপাশি অপর একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ওই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন- মৃত নবজাতকের বাবা আরিফুর রহমান, মা শিউলি বেগম, দাদী কোহিনুর বেগম, চাচা কাইউম হোসেন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক আলমগীর কবির। যাত্রীরা সকলে ঝালকাঠীর বাসিন্দা এবং অ্যাম্বুলেন্সের চালক কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। তবে মৃত আরেকজনের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান দুর্ঘটনায় ৬ জনের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দুর্ঘটনার পর সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

ঘটনাস্থল আটিপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অনার্স শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ বলেন, ঝালকাঠীর বাউকাঠী এলাকার বাসিন্দা ছিল ওই পরিবারটি। গত দুই দিন আগে রাজধানীর উত্তরার একটি ক্লিনিকে তাদের শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। ওই শিশুটি মারা গেলে লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তারা ঢাকা থেকে ঝালকাঠীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।

পথিমধ্যে বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া রাস্তার মাথায় একটি পরিবহন বাসকে অতিক্রম করতে চেয়েছিল এ্যাম্বুলেন্সটি। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান যাত্রীবাহী অ্যাম্বুলেন্সটির ওপর আছড়ে পরে। পরে একই সময়ে পেছনে থাকা মায়া ট্রাভেলস্‌ নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ওই কাভার্ড ভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে এ্যাম্বুলেন্সটি ছিটকে সড়কের পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। পরে ঘটনাস্থলেই ৬ জনের লাশ দেখতে পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থী জুনায়েদ।

এ দিকে, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিষয়টিতে উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল হাসান দৈনিক অধিকারকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সে থাকা শিশুটির মাসহ দুইজন নারী এবং চারজন পুরুষ ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে এর চালক পালিয়েছে। পাশাপাশি নিহতদের লাশ শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আপনার মতামত লিখুন :